হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মোহাম্মদ আবদুল গফুর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী এমপিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, জনপ্রিয়তা না থাকলে আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না। সকল মন্ত্রী এমপিদের উদ্দেশ্যে তিনি এ বক্তব্য দিলেও সকল মন্ত্রী এমপিদের জন্য তাঁর এ বক্তব্য প্রযুজ্য হবে না। তাঁর এ বক্তব্য প্রযুজ্য হবে শুধু তাদের জন্য, আগামী নির্বাচনে যারা প্রার্থী হতে ইচ্ছুক। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য অন্ততঃ প্রযুজ্য হবে না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্য। কারণ তিনি আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, তিনি রাজনীতি ত্যাগ করতে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য এ কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে, তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি শাসক দল- আওয়ামী লীগের সভানেত্রীও। আওয়ামী লীগের প্রধান হওয়ার কারণে তিনি অবশ্যই দেখতে চাইবেন যাদের প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে শুধু তারাই দলের মনোনয়ন লাভ করে নির্বাচনে বিজয়ী হোন এবং দলের গৌরব বৃদ্ধি করুন। যাদের এলাকায় জনপ্রিয়তা নেই, তাদের মনোনয়ন দেয়ার সম্ভাব্য পরিণতি হবে নির্বাচনে তাদের পরাজয় বরণের মাধ্যমে দলের জন্য দুর্ণাম ডেকে আনা। সে নিরিখে দলের মন্ত্রী এমপিদের প্রতি প্রধান মন্ত্রীর এ সাবধান-বাণী অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ সাবধান-বাণী আরেকটি কারণেও বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। সকলেই জানেন, বর্তমানে দেশে যে সরকার ক্ষমতাসীন রয়েছে, তা দেশের সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ধন্য কোন সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়নি। সকল রাজনৈতিক দল তো দূরে থাকুক, দেশের দু’টি প্রধান দলের একটি, যেটি অতীতে একাধিকবার সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, সেই বিএনপি কর্তৃক বর্জিত একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয় বর্তমান সরকার।
দেশের দু’টি প্রধান রাজনৈতিক দলের অন্যতম বিএনপি যে নির্বাচন বয়কট করে তার কারণও ছিলো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সকলেই জানেন, অতীতে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে বসেন তদানীন্তন সেনা প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরপর শুরু হয় জেনারেল এরশাদের দীর্ঘ স্বৈর শাসন। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এরশাদের স্বৈর শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে দিলেও আওয়ামী লীগ বহু দিন পর্যন্ত সে আন্দোলন থেকে দূরে থাকে। পরে অবশ্য আওয়ামী লীগও এক পর্যায়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু ততদিনে রাজনীতি ক্ষেত্রে নবাগতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের কাছে আপোসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এরশাদ শাসনামলের শেষ দিকে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশের দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে একমত হয়।
যেমনটা আশা করা গিয়েছিল, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও অবাধ হয়। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব ভোট কেন্দ্রে ভোট দানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে এক পর্যায়ে বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ রাখবেন, কেউ যেন আবার ভোটে হেরে গিয়ে এর মধ্যে কারচুপি আবিষ্কার না করে। ভোট গণনা শেষে যখন জানা গেল নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নয় বিজয়ী হয়েছে বিএনপি, তিনি অবলীলায় বলে ফেললেন নির্বাচনে সূ² কারচুপি হয়েছে।
এরপর যথাসময়ে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতাসীন হয় এবং শেখ হাসিনা হন সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী। খালেদা সরকারের মেয়াদকাল শেষে যখন নতুন নির্বাচনের প্রশ্ন উঠলো, প্রধানত শেখ হাসিনার দাবির মুখেই দেশের সকল জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের বিধান সংবিধানে বিধিবদ্ধ করা হয়। এই বিধান মোতাবেক বেশ কয়েকটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে দুই প্রধান দল পর পর জয়ী হয়ে সরকার গঠনের সুযোগ লাভ করে। এতে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে সবচাইতে বিশেষ উপযোগী।
তবে পরবর্তীকালে এক পর্যায়ে আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের এ বিধান পরিবর্তন করে দলীয় সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হলে দুই প্রধান দলের মধ্যকার অতীতের সমঝোতা লংঘনের অভিযোগ এনে বিএনপি সে নির্বাচন বয়কট করে। দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের একটি নির্বাচন বর্জন করায় নির্বাচন একটি প্রহসনে পরিণত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা তো দূরের কথা, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার গরজ অনুভব করেননি। তারা জানতেন তারা ভোটকেন্দ্রে না গেলেও তাদের ভোটদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা।
বাস্তবে হয়ও সেটাই। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অনুপস্থিতির সুযোগে অল্পসংখ্যক সরকার দলীয় নেতাকর্মী ইচ্ছামত ব্যালট-পত্রে সিল মেরে আওয়ামী প্রার্থীদের বিপুল ভোটে ‘জয়ী’ হওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন। এভাবে ভোটারদের শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় জনগণ এ নির্বাচনের নাম দেন ভোটারবিহীন নির্বাচন! পরম পরিতাপের বিষয় এ ধরনের ভোটারবিহীন নির্বাচনী প্রহসনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়েও আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনা সামান্যতম অনুতাপ বোধ না করে খুশীই হন! জাতীয় সংসদে ভাষণ দান কালে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় এক হিসেবে ভালোই হয়েছে। সংসদে তাদের সমালোচনা শুনতে হচ্ছে না। সংসদে জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিরোধী দলীয় সদস্যদের সরকার-বিরোধী বক্তৃতা শুনতে তাঁর এ অনীহা কিন্তু তাঁর গণতন্ত্র-প্রীতির প্রমাণ বহন করে না।
প্রকৃত পক্ষে দেখা যায় আওয়ামী লীগের হাতে গণতন্ত্র যে কখনও নিরাপদ নয় আমাদের দেশের ইতিহাসে তার প্রমাণ রয়েছে অজ¯্র। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আমলে গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরে সকল রাজনৈতিক দল বন্ধ করে দিয়ে একটি মাত্র সরকারি দল রেখে একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা কায়েম করা হয়। পরবর্তীকালে বহু দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে পুনরায় বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করা হলে এক পর্যায়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসেন তদানীন্তন সেনা প্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সেসময় সারা দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে ঐ সামরিক ক্যুর প্রতি সমর্থন দিয়ে বসেন আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর এই অকল্পনীয় ভূমিকার কারণ সম্ভবত এই ছিলো যে, সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত হওয়া ঐ নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে ছিলো আওয়ামী লীগের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। অর্থাৎ নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তুলনায় সামরিক ক্যুর মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতকারী জেনারেলের শাসন তাঁর কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছিলো। বলা বাহুল্য এটাও শেখ হাসিনার গণতন্ত্র-প্রীতির প্রমাণ বহন করে না।
গণতন্ত্রে জনগণের স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকার কথা। এ জন্য নিয়মিত ব্যবধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশের ইতিহাসে এরকম ব্যবস্থা একবারই হয়েছিলো, যখন নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিলো। দেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই ধরনের নির্বাচনের বিধান যতদিন কার্যকর ছিলো, ততদিন এ ব্যবস্থার সুফল সকলে ভোগ করেন। পরবর্তীকালে এক পর্যায়ে আওয়ামী নেত্রীর শাসনামলে এ ব্যবস্থা বদলিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের বিধান চালু করা হলে গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠানোর ব্যবস্থা পাকাপাকি হয়। তাঁর এই স্ববিরোধী অবস্থান দুঃখজনক।
দলীয় সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা চালু করার সপক্ষে সে সময় আওয়ামী নেত্রী যে যুক্তি দিয়েছিলেন তা এই যে, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। কিন্তু তিনিই যে বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এরশাদ-পরবর্তী কালের প্রথম খালেদা সরকারের শেষ দিকে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি তোলেন পরবর্তীকালে তা ভুলে গেলে চলবে কেন? যখন যেভাবে নির্বাচন হলে তিনি নিজে ক্ষমতায় যেতে পারবেন, তখন সেভাবে দাবি তুলবেন তা তো ঠিক না। এরশাদ-পরবর্তী প্রথম নির্বাচনে নিজস্ব ভোট দানের পর তিনিই তো সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতা কালে বলেছিলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ রাখবেন, কেউ যেন ভোটে হেরে গিয়ে এর মধ্যে কারচুপি আবিষ্কার না করে। এ কথা বলা সত্তে¡ও ভোট গণনা শেষে যখন জানা গেল, আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি তখন তিনি অবলীলায় বলেছিলেন, নির্বাচনে সূ² কারচুপি হয়েছে। এর অর্থ কি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হলেও আওয়ামী লীগ জয়ী না হলে ধরে নিতে হবে কারচুপি হয়েছে?
অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তাই বাংলাদেশেও সেভাবে হবে বলে শেখ হাসিনা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। সে সম্পর্কে এটুকু বললেই যথেষ্ট হবে যে, ওই সব গণতান্ত্রিক দেশে দলীয় সরকারও নির্বাচনকালীন সময়ে বাস্তব পক্ষে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের মতো আচরণে অভ্যস্ত। ফলে যে দলের সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় সে দলকেও নির্বাচনে হারিয়ে অন্যদল ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশে এরকম পরিস্থিতি গড়ে উঠতে এখনও বহু দেরী বলেই আমাদের বিশ্বাস। দেশের প্রাচীনতম দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে রাজী আছে কিনা আওয়ামী লীগ নেত্রী তা ভেবে দেখতে পারেন। তবে আর যে কোন দলই হোক আওয়ামী সরকারের অধীনে এরকমটা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হয় বাস্তবতার নিরিখে। জাতীয় নির্বাচন তো দূরের কথা, পৌরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে গাজীপুরে বিএনপি প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরকম দৃষ্টান্ত আরও কয়েকটি ক্ষেত্রেও রয়েছে।
আওয়ামী লীগ যে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অন্যায় পন্থায় প্রভাবিত করার আশা এখনও ছেড়ে দেয়নি তার প্রমাণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের কর্তৃক জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে অভিমত প্রদান করা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, রাজনৈতিক দল ও সরকার চাইলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে ইভিএমের মতো বিতর্কিত বিষয় পুনরায় আলোচনায় আসায় এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। যেখানে ইভিএম থেকে সরে আসছে উন্নত দেশগুলো, সেখানে বাংলাদেশে এ নিয়ে পুনরায় কথা শুরু হওয়ায় বিএনপি এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এমনিতেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধকতার অন্ত নেই, তদুপরি ইভিএম নিয়ে আগামী নির্বাচনের নতুন বিতর্ক শুরু হোক তা কিছুতেই কাক্সিক্ষত হতে পারে না। আমরা চাই, দেশের পরবর্তী সংসদ নির্বাচন এমনভাবে অনুষ্ঠিত হোক যা নিয়ে দেশে যাতে আর কোন নতুন বিতর্ক সৃষ্টি না হতে পারে। গণতন্ত্রের স্বার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন যাতে সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে অনুষ্ঠিত হয় সেটা নিশ্চিত করাই হোক সকলের প্রধান লক্ষ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।