Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চোরাচালান মামলার চার্জশিটেও বাদ নুর মোহাম্মদ

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কোকেন পাচার

| প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তরল কোকেন পাচারের ঘটনায় আলোচিত মাদক আইনে মামলার পর এবার চোরাচালান মামলাতেও নুর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার মহানগর হাকিম মাসুদ পারভেজের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মোঃ কামরুজ্জামান।
চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চোরাচালান মামলায় অভিযোগপত্র পত্র দেয়া হয়েছে। এতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নুর মোহাম্মদের নাম নেই। আজ সোমবার অভিযোগপত্র বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান সূর্যমুখী তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তরল কোকেন আনার ঘটনায় মাদক আইনের মামলায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে প্রথম অভিযোগপত্র দেন। তাতে নুর মোহাম্মদের নাম বাদ দেয়া হয়েছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম বাদ দেয়ায় আদালত সে সময় ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে পুলিশের বদলে র‌্যাবের মাধ্যমে মামলাটি নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেন।
২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল নুর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে মাদক আইনের মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র (অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন) দেয় মামলাটির অধিকতর তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-৭ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী। ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নুর মোহাম্মদের জ্ঞাতসারেই ভোজ্যতেলের মাধ্যমে তরল কোকেন আমদানি করা হয়েছিল।  
গতকাল দেয়া চোরাচালান মামলায় অভিযোগপত্রে নুর মোহাম্মদের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করেছেন আইও। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোঃ মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মোঃ মেহেদী আলম, গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মন্ডল গ্রæপের বাণিজ্যিক নির্বাহী  আতিকুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) একেএম আজাদ, যুক্তরাজ্যের নাগরিক ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া। এদের মধ্যে শেষ দুইজন পলাতক রয়েছেন।
বিদেশি একটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা একটি কন্টেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। পরে পরীক্ষা করে এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বলিভিয়া থেকে আমদানি করা সূর্যমুখী ভোজ্যতেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজীকরণ হয় উরুগুয়ের মন্টিভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে গত ১২ মে কনটেইনারটি এসে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কোকেনের চালান অন্য দেশে যাওয়ার কথা ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চোরাচালান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ