ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
\ চার \
বক্তারা বলেন, এদেশে ঐতিহ্যগতভাবেই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। কিন্তু ইদানীংকালে এর ব্যতিক্রম ঘটানো হচ্ছে। গত বছরও পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়; এই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসেও বিভিন্ন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। অথচ জামাত-জোটের হরতালেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরীক্ষাও পেছানো হয়েছে। তাহলে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উপলক্ষে কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে না? অবিলম্বে সারাদেশে পরীক্ষাসহ সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি সমস্ত মসজিদে সরকারিভাবে ইফতারীর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের দ্বীনী ভাবগাম্ভীর্যতা রক্ষার্থে ক্রিকেট, ফুটবলসহ যেকোনো আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া খেলাধুলা, টিভি-সিনেমা ও নাটক নিষিদ্ধ করতে হবে।
(১১) স্বাধীনতাউত্তর জাসদীয় ষড়যন্ত্র নতুন করে শুরু হয়েছে। আলিম এবং সম্মানিত ইসলামী অনুভূতির প্রতি কটাক্ষ করে ইনু-বাদল গংরা মুসলমানদের দ্বীনী অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, নাস্তিক্যবাদী ইনু-বাদলরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আবারো স্বাধীনতাউত্তর জাসদীয় ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এসব জনবিচ্ছিন্নরা আজ আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে মন্ত্রী-এমপি হয়ে আওয়ামী লীগকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও আলিমদের থেকে দূরে সরানোর ষড়যন্ত্র করছে। এরা বঙ্গবন্ধুর সাথে এরা দুর্ব্যবহার করেছিল। বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে তারা ডুগডুগি বানাতে চেয়েছে। আলিমদের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ভালো হোক এটা তারা চায় না। আওয়ামী লীগকে দ্বীনদারদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক নষ্ট করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী আলিমদের সাথে সম্পর্ক থাকুক এটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা ১৯৭২, ১৯৭৫-এর জাসদীয় ষড়যন্ত্র নতুন করে বাস্তবায়ন করতে চায়। হিন্দুদের অমঙ্গলযাত্রায় অংশ না নিলে তাদের জনগণকে দেশের শত্রæ বলতে চায়। অথচ স্বয়ং বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় কোনোদিন পহেলা বৈশাখ নিয়ে ইনু গংদের মতো মাতামাতি করেননি। অমঙ্গলযাত্রায় অংশগ্রহণ করেননি। ইনু গং কী তাহলে বঙ্গবন্ধুকেও দেশের শত্রæ বলবে? এসব নাস্তিক বামপন্থীদের ১% ও ভোট নেই। এদের জন্য আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত হতে দেয়া যায় না। তাই এদের মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেয়া উচিত।
(১২) সংস্কৃতির জন্য নতুন স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে হবে’ ড: সানজিদা খাতুনের এ বক্তব্য এদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। এজন্য ড: সানজিদার রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার করতে হবে।
বক্তারা বলেন, সানজিদার বক্তব্যে মনে হয়, বঙ্গবন্ধুর অর্জিত স্বাধীনতা যথার্থ নয়। সেই এবার সত্যিকার স্বাধীনতার ডাক দিয়েছে। যা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। মূলত এর মাধ্যমে সে বঙ্গবন্ধুর মানহানী করেছে। তাছাড়া সে যে সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার কথা বলেছে সেটা নাস্তিক্যবাদী বেলেল্লাপনার স্বাধীনতা। এটা দেশবিরোধী দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দ্বীনবিরোধী তথা সংবিধানবিরোধী কথা। এর জন্য আমরা রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে তার বিচার চাই। অবিলম্বে তার গ্রেফতার চাই।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১০ দফার দাবিতে সমাবেশ ও মানবন্ধনে সমন্বয় করেন, পীরজাদা, পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল), সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি- সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, আলহাজ্জ মাওলানা হাবীবুল্লাহ রূপগঞ্জী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি সহ সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি হুযূর-সভাপতি বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতি, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা জুবায়ের হাসান নিজামী, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ তাজুল ইসলাম, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর সভাপতি প্রমুখ। সমাবেশের শেষে শহীদ বঙ্গবন্ধু রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রূহের মাগফিরাত কামনা করে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হায়াতে তৈয়বার জন্য দোয়া মোনাজাত করেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী।
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা পরিষদ, কেন্দ্রীয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, বাংলাদেশ, হাক্কানী আলেম সমাজ, জাতীয় ওলামা পরিষদ, বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতি, ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটি, আমরা ঢাকা বাসী এর পক্ষে-
আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মো: আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।