হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মোবায়েদুর রহমান
ভারতে বিজেপির বিরদ্ধে, বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উত্থাপন করেছেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যে পশ্চিম বঙ্গে বিজেপি দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে। গত ৪মে বৃহস্পতিবার রেডিও তেহরানের বাংলা নিউজ বুলেটিনে এই খবর সম্প্রচারিত হয়। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার ইংরেজ বাজারে এক জন সভায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন। রেডিও তেহরানের ঐ খবরে মমতা ব্যানার্জিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বললেন, দক্ষিণেশ্বরের ‘মঙ্গল আরতি’ নাকি বন্ধ হয়ে গেছে! আমি দক্ষিণেশ্বরে খোঁজ নিলাম। ওরা জানালেন খবরটা মিথ্যে। বাংলার সরস্বতী পূজা নিয়ে বিজেপি মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে বলে মমতা মন্তব্য করেন। মমতা বিজেপিকে টার্গেট করে বলেন, ‘যারা হিন্দু ধর্মকে কলুষিত করছেন তাদের বর্জন করুন। আমরা রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করি। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, এরাই প্রকৃত হিন্দু। ওরা নকল হিন্দু।’ তিনি সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘মোরা একবৃন্তে দু’টি কুসুম, হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।’
এর পর মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ও হিন্দুত্বের আরো গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, একজন অভিনেত্রীকে কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে, সে কিসের গোশত খেয়েছে। কেন তাকে সাফাই দিতে হবে? মানুষ ছাগল, মোষ না গরুর গোশত খাবে, না লাউ বা কুমড়ো খাবে সেটা ওরা ঠিক করার কে?’
তিনি বলেন, ‘আমি হিন্দু। আমি চÐী পাঠ করি। আমার বাড়িতে কালী পুজো হয়। কই কোন মুসলিম বন্ধু তো আমায় বলেন না কেন আমি ঈদে যাই? সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বলো ‘জয় বাবা আইডি কার্ড’। মমতা বলেন, ‘বিজেপি হল দাঙ্গাবাজের দল। ওরা এখন বলছে গরুর আইডি কার্ড করবে। এরপর কি হবে? এরপর ছাগল, মুরগিরও আইডি কার্ড করবে? রোজ ঘুম থেকে উঠে এখন আমাদের আইডি কার্ড কে নমস্কার করতে হবে? এরপর ওরা তিন বেলা খাবার খাওয়ার জন্যও আইডি কার্ড চালু করবে?
আমি মা দুর্গা, মা কালীকে যেমন পুজো করি, ঈদ যেমন পালন করি, বড় দিনে চার্চেও যাই।’
তিনি বলেন, ‘আমার মা কে, বাবা কে, আমার ধর্ম কী এইসব প্রশ্ন ওরা করছে। কত বড় স্পর্ধা ওদের? একজন বিজেপি নেতা জিজ্ঞেস করছেন, আমি মেয়ে, ছেলে, না হিজড়া। কত বড় স্পর্ধা ওদের?’
উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, গোয়া প্রভৃতি রাজ্যের বিধান সভা নির্বাচনে বিজয়ের পর বিজেপি এখন তাদের খোলস ছাড়তে শুরু করেছে। সকলেই জানেন, রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ বা আর এস এস তাদের প্যারেন্ট সংগঠন বা আদি সংগঠন। তাদের আরো কতগুলো সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এ গুলো হলো বজরঙ্গি দল, করসেবক, শিব সেনা প্রভৃতি । বিজেপি হলো তাদের পলিটিক্যাল উইয়িং। তাদের চ‚ড়ান্ত লক্ষ্য হলো সারা ভারতে হিন্দুত্ব বা হিন্দু রাজ প্রতিষ্ঠা করা। উত্তর প্রদেশ সহ যে সব রাজ্য বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল বিজয় লাভ করেছে সেই সব রাজ্যে এই দলটি এবং অন্যান্য হিন্দু ধর্ম ভিত্তিক দল নৈতিক ভাবে উজ্জীবিত হয়েছে এবং তাদের মনোবল চাঙ্গা হয়েছে। এর পর তারা নজর ফিরিয়েছেন পশ্চিম বঙ্গের দিকে, যেটির নতুন নাম হয়েছে বাংলা। এখন বাংলায় রাজত্ব করতে গেলে এবং পশ্চিম বঙ্গ তথা বাংলায় ঘাটি গাড়তে গেলে হিন্দুত্বের জিগির তোলা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ নাই। কারণ মমতা ব্যানার্জি এখানে একাধারে তিন ফ্রন্টে লড়েছেন। একদিকে সবচেয়ে বড় দল সিপিএম, যারা ৩২ বছর পশ্চিম বঙ্গে রাজত্ব করেছে তারা, অন্যদিকে কংগ্রেস। কংগ্রেসও পশ্চিম বঙ্গে বহু বছর রাজত্ব করেছে। আর সব শেষে বিজেপি, যারা ভারত শাসন করছে এবং অন্তত ১৪টি রাজ্য শাসন করছে।
\দুই\
বিজেপি দেখছে যে উত্তর প্রদেশ ভারতের বৃহত্তম রাজ্য। লোক সভায় ৫৪৩টি নির্বাচিত আসনের মধ্যে উত্তর প্রদেশেরই কোটা হলো ৮০। সেই প্রদেশে রাজত্ব করেছে প্রধানত কংগ্রেস এবং তার পর সমাজ বাদী দল। এখানে মুসলিম জনসংখ্যা ২০ শতাংশ। উত্তর প্রদেশে নির্বাচনে মুসলিম জন গোষ্ঠী সব সময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বড় বড় দল গুলো সব সময় মুসলমানদের দাবি দাওয়া যতটা পারে পূরণ করে। কিন্তু গত কয়েক দিন আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজেপি সম্পূর্ণ ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। তারা হিন্দুত্বের একচেটিয়া ভোট লাভের জন্য চরম হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার জিগির তোলে। তাদের এই হিন্দুত্বের জিগিরের ফলও তারা পেয়েছে। মুসলমানদের ভোট ছাড়াই তারা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে এবং সরকার গঠন করেছে। আজ যিনি উত্তর প্রদেশের মূখ্য মন্ত্রী তার নাম যোগী আদিত্য নাথ। গো মাতা সম্পর্কিত যত রকম হিন্দু সাম্প্রদায়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সে গুলো পাইওনিয়ার করেছেন মূখ্য মন্ত্রী বাবু আদিত্য নাথ।
ৎসারা ভারতে হিন্দুত্বের জিগির তুলেছিলেন বিজেপির তৎকালীন সুপ্রিমো লাল কৃষ্ণ আদভানি। হিন্দু মতে ভগবান রামকে নিয়ে সারা ভারতে তাদের রথ যাত্রার পরিণাম হয়েছিল ৪০০ বছরের বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়া এবং উদ্ভ‚ত সাম্প্রাদিয়ক দাঙ্গায় ২ হাজার মুসলমানের প্রাণ হানি। এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা হিসাবে উঠে আসেন নরেন্দ্র দামোদর মোদি। সেই যে তার উত্থান, তার পর তাকে আর পেছনে বেশি দিন তাকাতে হয়নি। গুজরাটে দুই দফায় মূখ্য মন্ত্রী এবং বর্তমানে ভারতের প্রধান মন্ত্রী। তার নেতৃত্বের দাপটের কাছে লাল কৃষ্ণ আদভানিও ¤øান হয়ে গেছেন।
ধারণা করা হয়েছিল যে, প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পরে হিন্দুত্বের ইস্যুটি হয়ত ব্যাক বার্নারে চলে যাবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ঐ ইস্যুটি ব্যাক বার্নারে না গিয়ে ক্রমান্বয়ে সামনে চলে আসছে। আসতে আসতে এখন বাড়ির কাছে পশ্চিম বঙ্গের দুয়ারে করাঘাত করছে। এ ব্যাপারে বিবিসি বাংলা অন লাইনে গত ৫ মে একটি কথিকা সম্প্রচার করা হয়েছে। কথিকাটি লিখেছেন কলকাতার সাংবাদিক মালবী গুপ্ত। কথিকাটির শিরোনাম,‘ভারতের পশ্চিম বঙ্গে বাঙালি হিন্দুর ‘ হিন্দুত্ব বাঁচাতে তোড়জোড়’। সেখানে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে আমরা অনেকেই এখন পাঁচমিশেলি বাঙালি। তবু এতদিন এখানে ‹বাঙালি হিন্দু› হিসেবে আমাদের কোনও বিশেষ পরিচিতির খোঁজ পড়েনি। এবং যে ধর্মীয় পরিচয়ের জামাটি সম্পর্কে আমরা এতদিন উদাসীন ছিলাম, আমাদের ভাঁড়ারে না থাকা সেই জামাটি বাইরে থেকে আমদানি করতে হঠাৎই যেন বেশ তৎপর হয়ে উঠেছি। দেখে শুনে তো আমার মনে হচ্ছে পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি হিন্দুরা সহসা যেন আত্ম পরিচয়ের গভীর সঙ্কটে পড়ে গেছে। যে সঙ্কট থেকে উদ্ধারের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে আমাদের ধর্ম।
বিবিসির ঐ আলোচনায় আরো বলা হয়েছে, এখন তো দেখা যাচ্ছে ধর্মকে একেবারে কমোডিটিই বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। যেমন হঠাৎই দেখছি পশ্চিম বঙ্গের বাঙালিদের (হিন্দু বাঙালি) মধ্যে ‹হিন্দুত্ব› জাগিয়ে তোলার একটা চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। স¤প্রতি ‹হিন্দুত্ব›র সংজ্ঞা বা তার ব্যাখ্যা নিয়ে রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়েছেন। টেলিভিশনের চ্যানেলে চ্যানেলে তাঁরা হিন্দু শাস্ত্রজ্ঞের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে প্রতিপক্ষকে একেবারে বুঝিয়েই ছাড়তে চাইছেন - হিন্দু ধর্ম কি?
মালবী গুপ্ত আরো বলেন, দেখে শুনে মনে হচ্ছে কেউ রামের হাত ধরে, কেউ বা হনুমানের লেজ ধরে প্রবল হিন্দু হয়ে ওঠার প্রতিযোগিতায় মাঠে ময়দানে নেমে পড়েছে। এবং ধর্ম নিয়ে রীতিমতো যেন কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে একটা হাস্যকর পরিস্থিতি। তার মতে, এই সব তর্ক বিতর্কের মাঝে আমরা একেবারেই মনে রাখি না গ্রামীণ বাংলার কথা। যেখানে বেশিরভাগ বাঙালির (হিন্দু, মুসলিম) বাস। পশ্চিম বঙ্গের মুসলমানদের সম্পর্কে বিবিসির ঐ আলোচনায় বলা হয়েছে, কয়েক প্রজন্ম মুসলমানরা বাংলার (পশ্চিম বঙ্গের) বাসিন্দা হওয়া সত্তে¡ও ওরা ‘বাঙালি’ নয়, ওরা ‘মুসলমান’, কেবল এই পরিচয়টাই বহন করে চলছে।
এর পর বলা হয়েছে, অথচ আমরা ভুলে যাই, বিশ্বে বাঙালি জাতি হিসেবে যে জনগোষ্ঠী পরিচিত (বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে) তার বেশিরভাগই মুসলমান ধর্মের মানুষ। হিন্দু বাঙালি সেখানে সংখ্যালঘু। কি জানি হয়তো সংখ্যালঘুর হীনমন্যতা থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুদের হিন্দুত্ব জাগিয়ে তোলার ঐকান্তিক বাসনা আজ রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের মধ্যে জেগে উঠেছে।
বিবিসির ঐ আলোচনায় আরো বলা হয়, আসলে এতদিন বাঙালি হিন্দুর প্রাত্যহিক জীবন চর্যায় ধর্ম›র প্রায় নিঃশব্দ বহমানতা তেমন ভাবে টের পাওয়া যেত না। হঠাৎই বোধহয় কারও কারও মনে হচ্ছে হিন্দু সমাজে বাঙালি হিন্দুরা যেন ব্রাত্য হয়ে পড়েছে। তাই কি কাড়া নাকাড়া বাজিয়ে তার ধর্মীয় পরিচিতিকে রাস্তায় বার করে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? কিন্তু সেই উদ্যোগে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের এত সক্রিয়তা কেন?
\তিন\
সমগ্র ভারতে হিন্দুত্ব কিভাবে ভারতীয় রাজনীতিকে গ্রাস করছে তার একটি সংক্ষিপ্ত আনুপূর্বিক বিবরণ পাওয়া যায়, ‘দ্যা অয়্যার ডট ইন’ নামক একটি ভারতীয় অন লাইন নিউজ পোর্টাল থেকে। এই পোর্টালে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। গত রবিবার ৭ মে একটি জাতীয় বাংলা দৈনিকে তার অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অনুদিত নিবন্ধটির শিরোনাম,‘ ভারত কি পাকিস্তান হতে যাচ্ছে?’। এই নিবন্ধে ভৌগলিক ভাবে ভারত পাকিস্তান হয়ে যাবে, এমন বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানকে ধর্মীয় মৌলবাদ যে ভাবে গ্রাস করেছে, ভারতকেও তেমনি ধর্মীয় মৌলবাদ গ্রাস করছে। এই পথে ভারতের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৯০ এর দশকে। তখন দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে সংঘ পরিবারের। এল কে আদভানি তখন রথ যাত্রার ঘোষণা দেন। তিনি দেশটিকে মন্দির-মসজিদে বিভক্ত করে ফেলেন। কৌশলটা তেমন জটিল কিছু ছিল না। হিন্দু সমাজের বর্ণ বিভাজনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে হিন্দু-মুসলমান বিভেদ তৈরি করা হলো। এই লক্ষ্যে একটি শত্রæ তৈরি করতে হবে। আর তারা হচ্ছে ‘মুসলমান’। তাদের ভাষায় যারা ‘বাবর কি আওলাদ’।
আমরা দেখেছি, ১৯৯০-এর দশকের এই তীব্র হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালে বিপুলসংখ্যক মানুষের রক্তপাতের মধ্য দিয়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হলো। এই সা¤প্রদায়িক বিভাজনের কৌশলের কারণে বিজেপি শুধু শক্তিই অর্জন করেনি, তারা রাতারাতি রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে কংগ্রেসের বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়।
হিন্দুত্বের যে ধারা রাজনীতিতে সূচনা করেন এল কে আদভানি, সেটিই ডাল পালা বিস্তার করে নরেন্দ্র মোদির আমলে। ঐ অন লাইন পত্রিকায় বলা হয়, মোদির আমলে জোরদার হয় বজরঙ্গি দল, হিন্দু সেনা প্রভৃতি কট্টর ক্যাডার বাহিনী। পত্রিকায় পাকিস্তানের জঙ্গি নেতা হাফিজ সাঈদের সাথে তুলনা করা হয়েছে যোগী আদিত্য নাথের। বলা হয়েছে, পাকিস্তানে যেমন রয়েছে হাফিজ সাঈদ, তেমনি ভারতে রয়েছে আদিত্য নাথ। এক কদম আগ বাড়িয়ে বলা হয়েছে যে, আদিত্য নাথ হয়তো ভবিষ্যতে দলে নরেন্দ্র মোদির স্থানটি দখল করবেন। তখন ভারতে আদিত্য নাথের গো রক্ষা পদক্ষেপ হয়তো সর্ব ভারতীয় হয়ে উঠবে।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।