নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার হাসান মুনীরের বিরুদ্ধে অর্থ আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গত বছরের গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসকে সামনে রেখে ২০১৫ সালে জাতীয় টেবিল টেনিস দলের জন্য বিদেশী কোচ আনা বাবদ অর্থ তুলেছিলো ফেডারেশন। ওই বছর এসএ গেমসের ক্যাম্পে ভারতীয় কোচ সৌভিক রায়কে আনার কথা ছিল। তার নামে নাকি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) থেকে অর্থ উত্তোলন করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুনীর। পরে এ নিয়ে হইচই পড়ে গেলে শেষ পর্যন্ত সাধারন সম্পাদককে কড়া ভাষায় সর্তক করতে বাধ্য হয় বিওএ (সূত্র নং: বিওএ-১২০৭/২০১৫/০৫০০)। শুধু তাই নয়, ওই বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে ৩ মে চীনের সৌজে বিশ্ব টিটি চ্যাম্পিয়নশিপের আগেও নাকি অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই টুর্নামেন্টের জন্য স্পন্সর প্রদান সাপেক্ষে অবজারভার হিসেবে পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুল কাদেরকে নির্বাচন করে ফেডারেশন। যিনি ফেডারেশনের কোন কমিটির সদস্যও নন। এছাড়া গেল মাসে চীনের উসিতে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান টিটি চ্যাম্পিয়নশিপে দল আগে পাঠালেও ডেলিগেট হাসান মুনীর ও দলনেতা শেখ জাহাঙ্গীর আলম গেছেন একদিন পর। ফলে নামের বানান ভুল থাকায় কুনমিং বিমান বন্দরে দু’ঘণ্টা বসে থাকতে হয় টিটি খেলোয়াড় সাদিয়া ইসলাম মৌ’কে। এ জন্য হাসান মুনীরকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উপরোক্ত বিষয়গুলোসহ পাঁচটি অভিযোগ এনে ফেডারেশনের সদস্য এনায়েত হোসেন মারুফ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) হাসান মুনীরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে এনএসসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান ও এনএসসির পরিচালক (অর্থ) সহিদউল্লাহ ৩০ মার্চ একটি চিঠি (সূত্র: জাক্রীপ/হিসাব/৩৪.০৩.০০০০.০৬.০০.০০০০.৮২/২০১৬-৭৬৫) দেন মুনীরকে। চিঠিতে বলা হয়, তদন্তের শুনানীতে সময় মতো তাকে উপস্থিত থাকতে। গত বুধবার টেবিল টেনিস ফেডারেশনে এই শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। তবে তদন্তের শুনানী শেষে হাসান মুনীর নিজেকে নির্দোশ দাবী করেন। তিনি বলেন, ‘এসএ গেমসের বিষয়টি আগেই সুরাহা হয়ে গেছে। আর ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বিদেশগামী দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করলেই ওই কোম্পানীর কর্মকর্তাদের নেয়া যাবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া চীনের উসিতে দলের সঙ্গে আমরা যেতে পারিনি বিওএ’র নির্বাচনের জন্যই। আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগই মিথ্যা। আসলে একটি পক্ষ আমাকে হেনস্তা করতেই ওঠেপড়ে লেগেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।