Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোর আ.লীগের সভাপতির শর্টগান দিয়ে দুজনকে জখমের অভিযোগ!

পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলন

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:৫৩ পিএম

যশোরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের শর্টগান দিয়ে প্রতিপক্ষ দুইজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের আত্মীয় (বিয়াই) মাস্টার নুরুল ইসলাম। তার দাবি ঘটনার সময় শহিদুল ইসলাম মিলন উপস্থিত ছিলেন না।

আহতরা হলেন, হামিদপুর বাসিন্দা এবিএম জাফরী (৩৮) ও তার পিতা আসাদুজ্জামানকে (৬৫)। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন, যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে ৩০ বছর আগে শিল্প ব্যাংক থেকে ১০ একর জমি ক্রয় করেন। তখন থেকেই ওই জমিতে পরিবার নিয়ে বসবাস ও চাষাবাদ করছেন। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমি ও আমার ছেলেরা কলাগাছ রোপণ করতে যাই। জমিতে কলাগাছ রোপণের সময় হঠাৎ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার নেতৃত্বে ১২-১৫জন সন্ত্রাসী চাইনিস কুড়াল ও শর্টগান নিয়ে উপস্থিত হন। এ সময় শহিদুল ইসলাম মিলন ওই জমি তার বিয়াই নুরুল ইসলামের দাবি করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে শহিদুল ইসলাম মিলনের লোকজন আমার ও আমার ছেলে জাফরীর উপর শর্টগান দিয়ে হামলা চালায়। জাফরীর মাথায় শর্টগান দিয়ে আঘাত করে। এসময় আমি ও আমার ছেলে আহত হলে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ওই জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রকার ফলজ, বনজ ওষধি গাছ কেটে সাবাড় করে দেয় শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। ওই জমি দখলের জন্য মারপিটস হত্যারও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গত ৭ ডিসেম্বর কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।
এ ব্যাপারে সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন সাংবাদিকদের জানান, এ ধরণের কোনো ঘটনাই তিনি জানেন না। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে পালটা সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহিদুল ইসলাম মিলনের আত্মীয় মাস্টার নুরুল ইসলাম। তার পক্ষে আইনজীবী শাহরিয়ার বাবু দাবি করেন, সোমবারের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি বলেন, তার মক্কেল নুরুল ইসলামের জমি দখল করতে যায় আসাদুজ্জামান ও তার লোকজন। এসময় জমির বৈধ মালিকরা বাধা দিলে এই ঘটনা ঘটে। আসাদুজ্জামান নিলামের মাধ্যমে ক্রয়কৃত জমির বাইরেও নুরুল ইসলামের প্রায় ৩৫ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে আছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ