Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নন্দীগ্রামে গাছ কাটা ও পুকুরের মাছ লুটের ঘটনায় মামলা

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে : বিজ্ঞ আদালতের (স্ট্যাটাস কো) স্থীতাবস্থা নির্দেশকে উপেক্ষা করে বনজ ও দেশীয় গাছ কেটে সাবাড় এবং পুকুরের মাছ ধরে লুটের অভিযোগে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানা সিনিয়র জজ আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৫ ও ৬ ২০১৭ মোৎ ভাইলেশন। মামলার আরজি পেশ করার পর আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মি. মিলন চন্দ্র পাল বিবাদীগণের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইতে নোটিশ প্রদান করেছেন। ৫ নং মোৎ ভাইলেশন মামলার প্রার্থক নন্দীগ্রাম উপজেলার দাসগ্রাম (দামুয়াপাড়া) ফরমান আলী সরকার গং অভিযোগ করে বলেন, দাসগ্রাম মৌজার সাবেক ৫৪২ দাগের ৩০ শতক সম্পত্তি নিয়ে একই আদালতে ৩৩৭/১৬ (অন্য) মোকদ্দমা বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত মামলায় আদালত গত ৯ জানুয়ারি ২০১৭ বিজ্ঞ আদালত বিবাদী মোস্তাফিজুর রহমান, সামছুল হক ও আবু সাঈদকে নালিশি সম্পত্তির দখল বিষয়ে (স্ট্যাটাস কো) স্থীতাবস্থা রাখার নির্দেশ দেন। এরপরও বিবাদীগণ ১৬ এপ্রিল বিকেল ৫টা হইতে দুইদিন ধরে আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রার্থকগণের স্বত্বদখলীয় সাতটি বড় মেহগনি গাছ, একটি বড় তালগাছসহ গাছ-বৃক্ষাদি কেটে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
৬ নং মোৎ ভাইলেশন মামলার প্রার্থক ক্ষমতাপ্রাপ্ত আমমোক্তার একই এলাকার লোকমান আলী অভিযোগ করে বলেন, একই মৌজার তিন তফশিলের সর্বমোট ৩.১৮ একর সম্পত্তি নিয়ে একই আদালতে ৩৩৯/১৬ (অন্য) মোকদ্দমা বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত মোকদ্দমায় গত ০৯-০১-১৭ তারিখ বিজ্ঞ আদালত বিবাদী আবুল হোসেন সরকার, মোজাম্মেল হক, নজরুল ইসলাম সরকার, রহমান আলী, আব্দুল গফুর, বাবুল ইসলাম, বাবলু ও মোস্তাফিজার রহমানকে নালিশি সম্পত্তির দখল বিষয়ে (স্ট্যাটাস কো) স্থীতাবস্থা রাখার নির্দেশ দেয়া সত্তে¡ও ২৩ এপ্রিল সকাল ১০টায় আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিবাদীগণ ১৫-২০ জন জলে নিয়ে প্রার্থকগণের স্বত্বদখলীয় নালিশি পুকুরসমূহে প্রবেশ করে প্রায় ৫০ মন মাছ ধরে নিয়ে যায়।
দু’টি মোৎ ভাইলেশন মামলা প্রার্থকগণ জানান, বিজ্ঞ আদালতের (স্ট্যাটাস কো) স্থীতাবস্থা নির্দেশকে উপেক্ষা করে বনজ ও দেশীয় গাছ কেটে সাবাড় এবং পুকুরের মাছ ধরার বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ কর্তনকৃত গাছ ও পুকুরের মাছ জব্দ করেনি এবং অদ্যাবধি থানায় দায়েরকৃত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করেনি। এ ব্যাপারে সাব ইন্সপেক্টর জাহিদ হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে। ঘটনা সত্য। ইচ্ছা করে যে কেউ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে পারেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আদালত

২৪ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ