পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ (১ম আদালত) মাসুদুল হক এই আদেশ দেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার একটি কপি মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে জমা দিয়েছেন। দলটির দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর একটি কপি স্পিকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’
আদালতের আদেশে বলা হয়, ১ নম্বর প্রতিপক্ষ (অর্থাৎ জিএম কাদের) ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে পার্টির কোনো সিদ্ধান্ত যাতে গ্রহণ করতে না পারে এবং কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারে সেই মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা, দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার আলোকে আদালত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
এ সর্ম্পকে জিয়াউল হক মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করুন। আগামীকাল বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।’ তবে কোথায় কখন সংবাদ সম্মেলন হবে সে সর্ম্পকে তিনি কিছু জানাননি।
অপরদিকে, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, চিফ হুইপ পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত নেননি স্পিকার। এ সম্পর্কিত মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টি সংসদে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত অধিবেশনে অংশ নিয়েছে। বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের মঙ্গলবারও অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মাগরিবের নামাজের বিরতির পর তাকে আর দেখা যায়নি।
চিফ হুইপ মশিউর রহমান অধিবেশনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার আসনে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি অধিবেশনের আগে স্পিকারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি আদালতের রায়ের কপিটি স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেন বলে জানান।
এদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা ও চিফ হুইপ পরিবর্তন নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্পিকার সময় চেয়েছেন। দেখা যাক কী হয়। এরপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
আর স্পিকারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বিরোধীদলীয় নেতা ও চিফ হুইপ পরিবতর্নের বিষয়টি নিয়ে নিয়ম-কানুন (রলস অব প্রসিডিউর) খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁও একটি চিঠি দিয়েছেন। সবকিছু দেখে যাচাই-বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।