বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া অফিস : ঝড় আর শিলাবৃষ্টির আশংকায় বগুড়ার কৃষকরা দ্বিগুণ মজুরি দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করে মাঠের ধান ঘরে তুলছে। এ জেলার প্রত্যেক উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস মাঠের ধান ঘরে তুলতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও মসজিদে মসজিদে আলোচনা করছে। মাঠের পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। চলতি বছর বগুড়ায় সোয়া লাখহেক্টর জমিতে কৃষক ইরি-বোরা ধান রোপণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বগুড়ার বোরো উৎপাদক কৃষকরা এবার ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯ /৪৯, হাইব্রিড জাতের ধান বেশি রোপণ করেছে। তবে স্থানীয় লোকজন জানায়, এবার জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই মাঠের প্রায় ৭৫ ভাগ ধান সোনালী রঙে মাঠকে রঙিন করেছে। প্রতিবিঘা জমিতে ২২/২৩ মণ ধান উৎপন্ন হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে। কোনো কোনো হাট/বাজারে নতুন ধান কেনা-বেচাও শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সর্ববৃহৎ সৈয়দ আহম্মদ কলেজ হাটে গিয়ে নতুন ধানের প্রচুর আমদানি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিমণ ধান ৭শ’ টাকা থেকে ৭শ’ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে। এবার কৃষক ধানের ভাল দাম পেয়ে বেজায় খুশি। সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাহউদ্দিন সরদার প্রসঙ্গত জানান, এবার সোনাতলায় ইরি-বোরা ধান বেশ ভাল উৎপাদন হয়েছে। তবে গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে ডুবে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে। গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবিঘা জমির ধান কাটতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ২২শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। জেলার কিছু কিছু এলাকায় চরম শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।