নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : অর্থের ভাগাভাগি নিয়ে নতুন মডেলে যাত্রা শুরু করেছিল আইসিসি। রাজস্ব ভাগের বেশি কে পাবে, এ নিয়ে একজোট হয়েছিল ‘তিন মোড়ল’ ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। অর্থনৈতিক সেই বৈষম্য দূর হলো, তিন বছর আগে একজোট হওয়া সেই ‘মোড়লগিরি’রও অবসান হলো গতকাল। দুবাইয়ে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা আইসিসির বার্ষিক সভায় জোর ধাক্কা খেয়েছে ভারত। সদস্য দেশগুলির মধ্যে কীভাবে আর্থিক পুনর্বিন্যাস হবে আর আইসিসি আগামী দিনে কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে একঘরে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আর্থিক পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে ১৩-১ ভোটে ভারতের দেয়া প্রস্তাবটি পরাজিত হয়েছে আর নতুন পরিচালন নীতির ভোটাভুটিতে ২-৮ ভোটে পরাস্ত হয়েছে ভারত। আইসিসি গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পরবর্তী আট বছরে বিসিসিআই মোট ২৯৩ মিলিয়ন ডলার পাবে, ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড পাবে ১৪৩ মিলিয়ন আর জিম্বাবুয়ে পাবে ৯৪ মিলিয়ন। বাকি সাতটি পূর্ণ সদস্য দেশ প্রত্যেকটি ১৩২ মিলিয়ন করে পাবে। অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশগুলি মিলে ২৮০ মিলিয়ন আর্থিক সহায়তা পাবে।’
ভারত গত বছর পর্যন্ত ৫৭০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল আইসিসির কাছ থেকে। এর ফলে যে ‘বিগ থ্রি’ বলে পরিচিত দেশের অন্যতম হিসাবে ভারত বিশেষ সুবিধা পেত, সেটা খোয়াল ভারত। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর রফা সূত্র হিসাবে ভারতকে আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু বিসিসিআই সেই রফাসূত্রও প্রত্যাখ্যান করেছে। আইসিসি’র সংবিধানে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেটা পাশ হয়েছে ১২-২ ভোটে। ভারত এবং শ্রীলঙ্কা এই সংশোধন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছিল; কিন্তু তাদের এই বিরোধিতা আর ধোপে টিকল না। বিসিসিআইর কোনো সভাপতি না থাকায় আইসিসির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সেক্রেটারি অমিতাভ চৌধুরী এবং কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরী।
আগামী জুনে বার্ষিক সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হবে। এর মধ্যে দিয়ে কার্যকর হওয়ার দুই বছর পর শেষ হবে ‘তিন মোড়লের’ যুগ। কিছু মানদন্ড পূরণ করতে না পারলে পূর্ণ সদস্য দেশের সহযোগী সদস্য হিসেবে অবনমনের ধারাটি আইসিসি সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কাসহ কয়েকটি দেশ এর বিরুদ্ধে ছিল। তবে আইসিসির বোর্ড সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এখন ১০টি পূর্ণ সদস্য দেশের বাইরেও ভোট দিতে পারবে তিনটি সহযোগী দেশ, স্বাধীন নারী পরিচালক ও চেয়ারম্যান। আইসিসিতে এক বা দুই বোর্ডের কর্তৃত্ব করা এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, সংবিধান সংশোধন করার যে প্রস্তাব আনা হয়েছিল সেটাও পাশ হয়ে গেছে ৮-২ ভোটের ব্যবধানে। এ ব্যপারে মনোহর বলছেন, ‘এই নতুন প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে বিশ্ব ক্রিকেট আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। একদিকে যেমন ক্রিকেটের ভিত্তি আরও মজবুত করা যাবে, অন্যদিকে ভবিষ্যতে খেলার বিশ্বব্যাপী প্রসারও ঘটবে।’
তবে বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে হেরে গিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সরে আসবে কী না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ২৫ এপ্রিল সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করেনি। প্রাদেশিক সদস্যদের নিয়ে বোর্ডের একটি স্পেশাল জেনারেল মিটিং ডাকতে পারে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিসিসিআইয়ের প্রশাসকগোষ্ঠী, এমন সম্ভাবনার কথা ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়েছে। সেই বৈঠকেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে ভারতীয় বোর্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।