Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচার চাইতে আইসিসির দ্বারে পিসিবি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মাঠে সেদিন একে-অপরের প্রতি আক্রমণাত্মক ছিলেন দুজনেই। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাটা ঘটেছে। দুই দলের সমর্থকেরা ঘটনাটা দেখার পর ম্যাচ শেষে উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। পরে আইসিসি জরিমানা করেছে পাকিস্তানের আসিফ আলী এবং আফগানিস্তানের ফরিদ আহমেদকে। গতপরশু রাতে পাঠানো এক বার্তায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, লেভেল ওয়ান মাত্রার অপরাধের দায়ে পাকিস্তানের আসিফ আলী ও আফগানিস্তানের ফরিদ আহমেদকে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। দুজনেই অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের সাজা মেনে নিয়েছেন। তাই কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
এশিয়া কাপে গত বুধবার রাতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচের শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন আসিফ-ফরিদ। ম্যাচের তখন ১৯তম ওভার। ৭ বলে ১৬ রান করে আসিফ যখন আফগানিস্তানের জয় ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন, তখন ফরিদের বাউন্সারে ফাইন লেগে ক্যাচ আউট হন আসিফ। উইকেট পাওয়ার আনন্দে আসিফের কাছাকাছি গিয়ে উদযাপনের ভঙ্গিতে হাওয়ায় ঘুষি মারেন ফরিদ। এতে ক্ষিপ্ত আসিফ ফরিদকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। প্রতিউত্তরে ফরিদ কিছু একটা বললে ঘুরে দাঁড়িয়ে তাঁকে ব্যাট দিয়ে মারতে উদ্যত হন আসিফ। এরপর ফরিদও ধাক্কা দেন আসিফকে। আম্পায়ার এবং আফগান ক্রিকেটারদের হস্তক্ষেপে লড়াই থামার আগপর্যন্ত দুই ক্রিকেটার কথার লড়াইয়েও মেতে ওঠেন। আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খেলোয়াড়দের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলাবিধির ২.৬ ধারা ভঙ্গ করেছেন আসিফ। ধারাটি ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় অশ্লীল, আক্রমণাত্মক অথবা অপমানজনক অঙ্গভঙ্গি’র সঙ্গে সম্পর্কিত। আর ফরিদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে ২.১.১২ ধারায়, যা ‘ম্যাচের সময় খেলোয়াড়, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বা দর্শকসহ অন্য যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে অনুচিত শারীরিক সংযোগে’র সঙ্গে সম্পর্কিত।
তবে এর রেশ এখনই হয়ত শেষ হচ্ছে না। এবার আফগানদের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। মূলত গ্যালারিতে আফগান সমর্থকদের উৎপাত ও ভাঙচুরের ঘটনায় তৈরি হওয়া আতঙ্কজনক পরিস্থিতির কারণে এ অভিযোগ জানাবে পিসিবি। ঐ ম্যাচের পর ঘটা বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে আফগান সমর্থকদের চেয়ার দিয়ে পাকিস্তান সমর্থকদের মারতে দেখা যায়। ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে সংবাদমাধ্যমকে রমিজ বলেছেন, ‘আপনি সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন না। আর এ ধরনের পরিবেশ আপনাকে অসুস্থ করে তুলবে। আমরা আইসিসিকে লিখিতভাবে জানাব, নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরব। যা করা সম্ভব করব। কারণ, দৃশ্যগুলো ছিল বীভৎস।’
আফগানিস্তানের সমর্থকদের এমন কাণ্ড এটিই প্রথম নয় উল্লেখ করে রমিজ বলেন, ‘এমন কিছু এবারই প্রথম ঘটেনি। হার ও জিত খেলারই অংশ। এটা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই ছিল। কিন্তু আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত ছিল। পরিবেশ ভালো না থাকলে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হিসেবে আপনি কখনো সামনে এগোতে পারবেন না। আর এ কারণে আমরা নিজেদের যন্ত্রণা ও হতাশার কথা আইসিসিকে জানাব। ভক্তদের কাছে আমাদের দায় আছে, যেকোনো কিছু হতে পারত। আমাদের দল বিপদে পড়তে পারত। প্রটোকল যা-ই হোক, আমরা তা মেনেই অভিযোগ জানাব।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিচার চাইতে আইসিসির দ্বারে পিসিবি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ