পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরীন আবু আকলেহ’র হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে ‘পুরোপুরি দায়ী’ করলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এই হত্যার পেছনে রয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। ইসরাইলের তরফ থেকে এ হত্যাকাণ্ডে যৌথ তদন্তের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। এ নিয়ে আব্বাস বলেন, আমরা যৌথ তদন্ত প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ আমরা এই হত্যাকাণ্ড তারাই ঘটিয়েছে এবং আমরা তাদেরকে বিশ্বাস করি না। রামাল্লায় শিরীন আবু আকলেহর স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, আমরা শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যাচ্ছি অপরাধীদের খুঁজে বের করতে। এদিকে ইসরাইলের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, শিরীনের হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে তদন্ত চালু করেছে তারা। দেশটির দাবি, ফিলিস্তিনের এক বন্দুকধারীই শিরীনকে গুলি করে মেরেছে। ওদিকে বৃহস্পতিবার রামাল্লায় অবস্থিত প্রেসিডেন্সিয়াল সদর দফতরের সামনে নিহত শিরীনকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাকে সেখানে নেয়া হয়। তার শবযাত্রায় রাস্তার দু’পাশে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। শোকাতুর এসব মানুষ কখনো কখনো তার ওপর গোলাপ ফুল ছুড়ে মারেন। এদিন ঘুমহীন ছিল পশ্চিমতীর। আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবাই বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। শোকাতুর এমন দৃশ্য ফিলিস্তিনে সচরাচর দেখা যায় না। হারেৎজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।