Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী খাবার হোটেল নোংরা পরিবেশে চড়া দামে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

| প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুবি সংবাদদাতা : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন হোটেলগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সকালের নাস্তাসহ দুপুর ও রাতের খাবার। খাবারের দাম শুনলেই শিউরে উঠতে হয়। নোংরা পরিবেশের এমন শিউরে ওঠা লাগামহীন দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বেপরোয়া গতিতে। এতে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও পাশের মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রান্না হওয়ায় খাবারের মান নিয়ে শঙ্কা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এক সারিতে আল-মদিনা, বিএফজি, মামা হোটেল এবং কাজী নজরুল ইসলাম হল সংলগ্ন দুলু মিয়ার হোটেল পরিদর্শন করে দেখা যায়, অনেকটা অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে রান্না হচ্ছে ভাতসহ অন্যান্য খাবার। তিনটি হোটেলের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে ময়লার লেন। খাবার যেখান থেকে পরিবেশিত হয় সেখানে মাছির বেশ আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। এদিকে হোটেলগুলো সিন্ডিকেট করে সকালের নাস্তার ভাজি ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০টা করেছে, গরুর গোশত ২ পিচ (সিঙ্গেল) ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা রাখা হচ্ছে, বয়লার মুরগির গোশত প্রতি পিচ ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ৪০ টাকা। গোশতবিহীন তেহেরী রাখা হচ্ছে ৩০ টাকা করে। অনেক সময় বাসি তেহেরীও গরম করে চালিয়ে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মাসের শেষ কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডাইনিং বন্ধ থাকলে দ্বিগুণ দাম রাখা হয় বলেও জানা যায়। গেল ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে বেপরোয়া দাম হাঁকিয়ে নেয় এই সব হোটেলগুলো। এই সব হোটেলগুলোতে নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনিম হাসান ভূইয়া অনিক জানান, হোটেলগুলোয় ইচ্ছে মত দাম রাখা হয়। আর খাবারগুলো অস্বাস্থ্যকর। তারা অনেকটা বাধ্য হয়েই হোটেলগুলোয় খাবার খান।
স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে এ সব হোটেলগুলো বেশি দাম হাঁকিয়ে নিচ্ছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
খাবার হোটেলগুলোর এই লাগামহীন দাম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ) রুপালী মন্ডল বলেন, ‘দাম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে ভোক্তাদের অধিকার আছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’ এ বিষয়ে কুমিল্লা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের জানা ছিল না। আমার শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করব। প্রয়োজন হলে জরিমানা ও দোকান বন্ধ করে দেব।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে স্বল্পমূল্যের খাবারের দোকান চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিরোধের মুখে সে প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক। খাবার হোটেলগুলোর লাগামহীন দামের এই সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ঝুপড়ি খাবর দোকান নির্মাণেই সহজ সমাধান বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুমিল্লা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ