Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রম আইনের বাস্তবায়ন দরকার জরুরি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মজিবুল হক

| প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অগ্রগতি হচ্ছে। সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গার্মেন্ট সেক্টরে কাজ করছে এবং কেমিক্যাল ও বয়লার সেক্টরে গুরুত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি ২০০৬ এবং ২০১৩ সালে শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। সচেতনতার অভাবে এসব আইনের বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আন্তর্জাতিক পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এবং ওশি-এর আয়োজনে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা : অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক সামাজিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মজিবুল হক এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি‘র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ওশির চেয়ারপার্সন রিজওয়ানা সাকী, নির্বাহী পরিচালক এ আর চৌধুরী, ওখঙ-এর আলবার্টো সার্ডা, ফায়ার ব্রিগেড-এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবঃ আবু নাইম মোঃ শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রওশন মমতাজ, ড. ইশতিয়াক আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওশির সহ-সভাপতি ড. এস এম মোর্শেদ। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আইন থাকলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শিশুশ্রম বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন থাকা সত্তে¡ও গৃহকর্মে শিশুদের নিয়োগ করা হচ্ছে। তাই জনসচেতনতা জরুরি। কর্মক্ষেত্র পরিদর্শন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৮৩ লক্ষ্য ইনস্পেকশন ইউনিট পরিদর্শন করতে ২০ হাজার পরিদর্শক লাগবে যা সময়সাপেক্ষ। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজের সময় দুর্ঘটনার শিকার অধিকাংশ শ্রমিক কোনো ক্ষতিপূরণ পায় না। এমন কি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণও দেয়া হয় না। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের নিয়োগপত্র না থাকায় দুর্ঘটনা পরবর্তী ক্ষতিপূরণসহ অন্যান্য অধিকার আদায় সম্ভব হয় না। গৃহকর্মী সুরক্ষা আইনের প্রয়োগ না থাকায় বাসাবাড়িতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের নির্মম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা গর্ব করে বলি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত ৮৫ লাখ লোকের উপার্জিত অর্থ আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। কিন্তু প্রতি বছর বিদেশের মাটিতে প্রায় ৫০০০ অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। যাদের বেশিরভাগই পেশাগত দুর্ঘটনার শিকার। অভিবাসন প্রক্রিয়ায় পেশাগত নিরাপত্তার বিষয়টি আরো বেশি গুরুত্ব প্রদানের লক্ষ্যে লেবার সেন্ডিং কান্ট্রি হিসেবে লেবার রিসিভিং কান্ট্রিগুলোর সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রম

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ