Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশকে চোখ ফাঁকি দিতে শিশু দিয়ে ইয়াবা পাচার!

সীতাকুন্ডে উদ্ধার হওয়া শিশুর তথ্যে চাঞ্চল্য

| প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুন্ড থেকে : পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিরাপদে ইয়াবা পাচার করতে শিশুদের ব্যবহার করছে পাচারকারী চক্র। গত শনিবার চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক থেকে এক শিশুকে ফাঁদে ফেলে তার মাধ্যমে সীতাকুন্ডে ইয়াবা পাচার করার পর তাকে ফেলে চলে যায় পাচারকারীরা। পরে শিশুটির কান্নাকাটিতে রাতে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করলে ইয়াবা পাচারের রোমহর্ষক কাহিনী বর্ণনা করে সে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে একটি শিশুকে সীতাকুন্ড পৌরসদর বাজারে কান্না করতে দেখে কয়েকজন কিশোর তাকে ডেকে আনে। সে কেন কান্না করছে জানতে চাইলে শিশুটি জানায় তার বাড়ি ফয়েজ লেক ও কর্ণেলহাট বিশ্বকলোনী এলাকার মাঝামাঝি সেভেন মার্কেট এলাকায়। কয়েকজন লোক তাকে নিয়ে এসেছে। সে বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে চায়। এদিকে এ ঘটনা জানার পর রাত ১০টার দিকে প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির সাথে আলাপ করলে সে জানায় তার নাম মোঃ শাকিল (১১)। বাবার নাম মো. সেলিম। তিনি চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক এলাকায় টিপু কুনিল কর্ণার নামক একটি দোকানে কাজ করেন। গত শনিবার দুপুর ২টার দিকে শিশুটি বাবার দোকান থেকে বের হয়ে বাসায় যাবার সময় ৩জন লোক কাছে এসে তার বাবার নাম জিজ্ঞাসা করে। এসময় সে বাবার নাম বললে তারা বলেন, তাকে তারা চেনেন। এরপর তারা জানতে চান সে কোথায় যাবে। শাকিল বাসায় যাবে জানালে দুস্কৃতিরা তাকে বাসায় পৌঁছে দেবে বলে একটি গাড়িতে তোলে এবং নাস্তা করার জন্য ২০টাকা দেয়। পরে তাকে লাল ট্যাবলেটের একটি প্যাকেট দিয়ে এটি পকেটে রাখতে বলে। তারপর তারা কর্ণেলহাট থেকে একটি ছোট গাড়িতে (সেইফ লাইন)তুলে সীতাকুন্ডে নিয়ে আসে। এখানে রাস্তায় নামার পর তার কাছ থেকে লাল ট্যাবলেটের প্যাকেটটি নিয়ে তাকে রেখে চলে যায় ওরা। এখানে আসার পর সে রাস্তা ঘাট চিনতে না পারায় মা-বাবার কাছে যাবার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। এদিকে বেশ কিছু লোকজনের সামনে শিশু শাকিল ইয়াবা পাচারের এ কাহিনী বর্ণনা দেওয়ার পর উপস্থিত সবাই বিস্মিত হয়ে যান। পরে প্রতিবেদক সীতাকুন্ড থানার ওসি মোঃ ইফতেখার হাসানকে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিশুটিকে তার অবিভাবকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে পুলিশের চেষ্টায় গতকাল রোববার শিশুটি তার বাবার সাথে বাড়িতে ফিরে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ