Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আনচেলত্তির সামনে জিদান

| প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : কার্লো আনচেলত্তি যখন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ, জিনেদিন জিদান তখন তার সহকারী। গল্পটি মাত্র দুই বছর আগের। ২০১৩-১৪ মৌসুমেও দুজন পাশাপাশি বসে রিয়ালকে জিতিয়েছিলেন বহু প্রতিক্ষীত ‘লা ডেসিমা’। সময়ের পরিক্রমায় সেই জিদান এখন রিয়ালের মূল কোচের ভুমিকায়। আর আনচেলত্তি মিউনিখের দল বায়ার্নে। এও সবার জানা। দুই গুরু-শিষ্যকে আজ মুখোমুখি করছে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচ।
আনচেলত্তির কাছে অনেক জবাব দেয়ার ম্যাচ এটি। রিয়ালকে সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা উপহার দিয়েও বরখাস্ত হতে হয়েছিল ইতালিয়ান কোচকে। সেবার সেমিফাইনালে বায়ার্নকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগীতায় ঘরের মাঠে এখনো পর্যন্ত যা বায়ার্নের সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ড। ঘটনা চক্রে সেই বায়ার্নে ডাকআউটের ভুমিকায় এখন আনচেলত্তি। জবাব দেয়ার মত এমন মঞ্চ তো আর সব সময় তৈরী হয় না।
সবকিছু হয়তো তার মনেই আছে। যে কারণে আক্রমণ করবেন কি, সাবেক ক্লাবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ৫৭ বছর বয়সী, ‘সবাই তাদের ইতিহাস জানে, আর এটাই তাদের বাড়তি মনোবল যোগায়। অপনি তাদের কোচের উপরও আস্থা রাখতে পারেন। সে জানে কিভাবে শিরোপা জিততে হয়।’ তবে নিজের লক্ষ্যটা ভুলে যাননি আনচেলত্তি, ‘ম্যাচটা আমার কাছে স্পেশাল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মত যথেষ্ঠ মনোবল আমাদের আছে।’
সাবেক শিষ্যের দিক থেকে কিন্তু ঠিকই এসেছে হুমকির বারতা। জিদান বলেন, ‘মাদ্রিদে আমি সবকিছু শুধু জিততেই শিখেছি। আর বায়ার্ন? বেশ, এই পর্যায়ে তাদের বিপক্ষে খেলাটা সহজ নয়। তারা শক্ত প্রতিপক্ষ, ভালো দল, কিন্তু তাদেরকেই আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।’ জিদান না বললেও একটা দুশ্চিন্তা কিন্তু ঠিকই তাকে জেকে ধরার কথা। আসরের চলতি মৌসুমে যে এখনো স্কোরবোর্ডেই নাম লেখাতে পারেননি তার প্রধান অস্ত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আবার এতেই অনুপ্রেরণা পেতে পারেন ফরাসি কোচ। তাতে দলের অগ্রযাত্রা তো আর থেকে থাকেনি। এবার প্রিয় শিষ্যও যদি ফেরে চেনা ভুমিকায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
রিয়ালের সাথে শেষবারের সাক্ষাত হতাশার হলেও পরিসংখ্যান কিন্তু জার্মান দলটির হয়েই কথা বলে। ২২ ম্যাচে ১১ জয় বায়ার্নের, রিয়ালের ৯টি। হিসাবটা বায়ার্নের মাঠে হলে তো আরো একপেশে। ১১ ম্যাচের ৯টিতেই জয় স্বাগতিকদের, একটি করে ড্র ও হার। সাকুল্যে জার্মানিতে খেলা ৩০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র চারটি জয় রিয়ালের।
ছন্দে আছে দুই দলই। শেষ ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-১ গোলে হারায় বায়ার্ন। রিয়াল অবশ্য নিজেদের মাঠে নগর প্রতিদ্ব›দ্বী অ্যাটলেটিকোর সাথে ড্র করে ১-১ গোলে। এ ম্যাচে আরো একটি দুঃসংবাদ যোগ হয় রিয়াল শিবিরে। দুটি পাঁজরের হাড় ভেঙে ফেলায় কোন লেগেই দলে পাওয়া যাবে না রক্ষণের অন্যতম সেনানী পেপেকে। তার স্থানে খেলা রাফায়েল ভারানেও চোটের কারণে দলের বাইরে। বায়ার্ন শুধু ডিফেন্ডার ম্যাটস হুমেলসকেই পাবে না। ডর্টমুন্ড ম্যাচে ঘাড়ে আঘাত পাওয়া রবার্ট লেভান্দোভস্কি শঙ্কামুক্ত।
রিয়াল মিউনিখ পাড়ি দিলেন মাদ্রিদেও কিন্তু আজ বেঁজে উঠবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের বাজনা। ভিনসেন্তে ক্যালডেরনে অ্যাটলেটিকোর প্রতিপক্ষ গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে রুপকথার জন্ম দেয়া লেস্টার সিটি। প্রথমবারের মত আসরে সুযোগ পেয়েই শেষ আটে খেলা তো স্বপ্নের মতই ব্যাপার। আসরে টিকে থাকা একমাত্র ইংলিশ দলও তারা। ক্লাদিও রেনিয়েরির বরখাস্তের পর ক্রেগ শেক্সপিয়ারের অধীনে টানা ছয় ম্যাচ জয়ের পর সপ্তম ম্যাচে এসে এভারটনের কাছে হারের স্বাদ পেয়েছে ফক্সরা।
তবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগীতায় তো তারা বাচ্চাই। মৌসুমের অপরাজিত ফাইনালিস্ট অ্যটলেটিকোকেই রাখতে হচ্ছে এগিয়ে। অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে লেস্টারের জয়ের কোন রেকর্ডও নেই। চারবারের সাক্ষাতে তিনবারই হেরেছে ফক্সরা, একবার ড্র। তাছাড়া ইংলিশ দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারের কোন রেকর্ড নেই অ্যাটলেটিকোর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিদান

৯ জানুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ