Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবন ১৪৩১, ২০ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

১৯৯৮ : জিদানের হেডে ফুরোলো ৬৮ বছরের আক্ষেপ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে সারা পৃথিবীর ফুটবলপ্রেমীরাই মেতে থাকে। নিঃসন্দেহে এই আসরটি এই ধরণীর শ্রেষ্ঠ বিনোদনের মাধ্যম। কিন্তু কখনও কি মাথায় এসেছে কিভাবে এই বিশ্বকাপের উৎপত্তি? জুলে রিমে এবং হেনরি ডেলাউনায়ের মত দুই ফরাসি ফুটবল সংগঠক বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে, বহু তর্কের মাধ্যমে এই আসরটি প্রচলন করেন এবং নিশ্চিত করেন যেন নিয়মিত হয়। কিন্তু সেই দুই ভদ্রলোকের এই কালবিজয়ী সিদ্ধান্তের ৬৭ বছর পযন্ত তাদের দেশ কিন্তু ঠিকই এই শিরোপা থেকে বঞ্চিত ছিল। অবশেষে ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করলে, জিনেদিন জিদান নামের এক বিষ্ময়কর মিডফিল্ডারের মাধ্যমে সেই অধরা শিরোপা ফরাসিরা নিজেদের করতে পারে।
স্বাগতিক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে প্রচুর চাপ ছিল ফ্রান্সের উপর। তাছাড়া এই টুর্নামেন্টের শেষভাগে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার একটা প্রবণতা ছিল ফরাসিদের মাঝে। অনেকেরই ধারণা ছিল জিদানও জাস্ট ফন্টেইন এবং মিশেল প্লাতিনির পথ অনুসরণ করবে, এবং শেষদিকে ব্যর্থ হবে। বুকি ও সমর্থকদের ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। কারণ রোনালদো নাজারিও বাছাই পর্বে ছিলেন অসাধারণ, সত্যি বলতে গোটা সেলেসাও দলটাই ছিল ফর্মের তুঙ্গে। তাইতো পরপর দ্বিতীয় শিরোপা জয়টা সমইয়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল সবার কাছে। তবুও যে অল্প ক’জন মানুষ স্বাগতিকদের ব্যাপারে বাজি ধরেছিল, তারাও ভাবেনি ফ্রান্স এতো দাপটের সঙ্গে ফাইনাল জিতবে।
বর্তমানে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসিকে যেভাবে সবার থেকে আলাদা ধরা হতো, সেই সময়টাই জিদান, ফিগো ও রোনালদো নাজারিওকেও সেভাবে স্পেশাল ভাবা হতো। জিদান অনেক প্রতিভাধর একজন খেলোয়াড় ছিলেন। তবে হেডিং তার শক্তির জায়গা ছিল না। যাই হোক এই অসাধারণ প্লেমেকার ফ্রান্সের বিখ্যাত জয়ে একবার নয়, দুইবার মাতিয়েছে গোটা স্টেড দি ফ্রান্সের দর্শকদের। মজার ব্যাপার হচ্ছে দুটি গোলই এসেছে তার বুলেট গতির দুই হেড থেকে। এই ব্যাপারে জিদান পরে স্বীকার করেন, ‘আমি কখনই হেডের প্রয়োগে খুব ভাল ছিলাম না। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আমি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপ‚র্ণ ম্যাচে এটি ঠিকঠাক করতে পেরেছিলাম, তাও দুবার! ফাইনালে দুটি গোল করা বিশাল ব্যাপার। এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না।’
ফ্রান্সের কোচ অ্যামি জ্যাকেট অবশ্য গোলদাতার মতো অবাক হননি। সেই গুরুত্বপ‚র্ণ ব্রেসটি (দুই গোল) এসেছিল হেডে, আর ফরাসি কোচ মনে করেন এটি মানসিক শক্তির প্রকাশ। যা তার তারকা খেলোয়াড়কে আলাদা করে অন্যদের থেকে। জ্যাকেট বলেন, ‘জিদানের অসাধারণ এক দক্ষতা রয়েছে। তার একটি অভ্যন্তরীণ দৃষ্টি আছে এবং সে যা খুশি করতে পারে বল নিয়ে। কিন্তু যা তাকে আলাদা করে তা হল তার ড্রাইভ, এবং আমরা ব্রাজিলের বিপক্ষে তা দেখেছি। হেডিং তার শক্তি নয়। কিন্তু তার দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিল এবং সে তা করেছিলেন।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিদান

৯ জানুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ