পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই নেতার বলয়ে ঘুরপাক চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ
রফিকুল ইসলাম সেলিম : কী চান এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী? কেউ বলছেন আর দুই বছর পর চসিক নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন। এ কারণে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন তিনি। ‘গরম’ কথায় মাঠ গরম করছেন আগেভাগে। চাঙ্গা করছেন নিজের কর্মী সমর্থকদের।
এ অবস্থায় কি করবেন মেয়র নাছির? মহিউদ্দিন চৌধুরীর ‘গরম’ কথার জবাব ‘গরমে’ দেবেন; নাকি হাইকমান্ডে নালিশ দেবেন। রাজনীতির মাঠে বিরোধী দল নেই। নির্বিঘেœই মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। হঠাৎ করে নিজের ঘরে তৈরি হওয়া ‘বিরোধী দলের’ মোকাবেলা করবেন কিভাবে- এমন প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
মেয়র হিসেবে প্রায় তিন বছর পার করতে যাচ্ছেন আ জ ম নাছির। এসময়ে তার ব্যর্থতা নিয়ে মাঠে নামতে পারেনি মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা কিংবা সমন্বয়হীনতার কারণে নগরবাসীর সমস্যা সঙ্কট নিয়ে সোচ্চার হতে বিএনপির ব্যর্থতায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল তা পূরণে এগিয়ে এসেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী- এমন মন্তব্য করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি দলে থেকেও বিরোধী দলের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হলেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের প্রকাশ্যে বাকযুদ্ধ এখন তুঙ্গে। দলের শীর্ষ এ দুই নেতার লড়াইয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলালীগ, শ্রমিকলীগসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন এ দুই নেতার পকেটে।
তবে প্রকাশ্য গৃহবিবাদ আর কলহ-কোন্দলের পরও মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাছিরের বলয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের রাজনীতি। মন্ত্রী-এমপিরা রাজনীতির মাঠে গড়হাজির, সাংগঠনিক কাজেও নিষ্ক্রিয় তারা। দলীয় কর্মীদের ভাষায় সংগঠন বাদ দিয়ে ক্ষমতা উপভোগে ব্যস্ত চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপিরা। ফলে রাজনীতির মাঠে একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীনের।
আর তাই ক্ষমতাধর এ দুই নেতার দ্ব›েদ্ব ভয়ঙ্কর দ্বিধাবিভক্ত এখানকার সরকারি দল ও তাদের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে দলীয় কোন্দলের জেরে ক্যাম্পাস ও পাড়া-মহল্লায় একাধিক খুনোখুনির ঘটনাও ঘটেছে। চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে প্রশাসনের কর্মকান্ডেও এ বিভক্তির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দুই নেতার মধ্যে কলহ-বিরোধ অনেক পুরোনো। তবে হঠাৎ করে দুই নেতার বাকযুদ্ধ বেশ জমে উঠেছে। মহিউদ্দিন চৌধুরীর গরম কথার জবাব গরম কথায় দিতে শুরু করেছেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। সর্বশেষ সোমবার লালদীঘি মাঠে আ জ ম নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে দেয়া মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য এ বিরোধে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
মহিউদ্দিন চৌধুরী আ জ ম নাছিরকে খুনী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাসতে হাসতে মানুষকে গুলি করতে পারেন। ১২টি খুনের সাথে নাছির জড়িত। নাছিরকে অযোগ্য, অথর্ব উল্লেখ করে তিনি তার অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন। নিজ দলের মেয়রের পাশাপাশি দলের তিন এমপির বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তুলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। গতকাল মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য ছিল টক অব দ্যা চিটাগাং। বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের হাটে-মাঠে-ঘাটে, চায়ের দোকানে, মানুষের আড্ডায়, অফিস-আদালত সর্বত্রই ছিল দুই নেতার পাল্টপাল্টি বক্তব্য নিয়ে নানারকম আলোচনা-বিশ্লেষণ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এ দুই নেতার বিরোধ পুরনো হলেও চট্টগ্রাম বন্দর, পৌরকরসহ বেশকিছু ইস্যুতে মুখোমুখি হন তারা। মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তোলেন। গত ১২ মার্চ নগরীর পতেঙ্গা বোটক্লাবের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটের দুরবস্থা নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি তার বক্তব্যে প্রকারান্তরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রশংসা করেন। চট্টগ্রামে যা উন্নয়ন তার কৃতিত্ব মহিউদ্দিন চৌধুরীর বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর চাঙ্গা হয়ে উঠে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকেরা। কিছুটা হতাশ হন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা। প্রধানমন্ত্রীর সফরের পর মহিউদ্দিন চৌধুরী সিটি করপোরেশনের পৌরকর বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে আবারও সরব হন। তিনি মেয়রের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কর আদায়ের অভিযোগ এনে সরকারকে অজনপ্রিয় করার চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেন। এর জবাবও দেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। তবে এর মধ্যে উচ্চআদালতের নির্দেশেই পৌরকর আদায়ের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এতে কিছুটা বেকায়দায় পড়েন মেয়র। অন্যদিকে আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
মহিউদ্দিন চৌধুরী আ জ ম নাছিরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে ব্যবসার অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই নেতা পাল্টপাল্টি বক্তব্য দিয়ে আসছেন। মহিউদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগ সাইফ পাওয়ারটেকের মালিকের সাথে মিলে মেয়র ও সরকার দলীয় তিন এমপি বন্দরে লুটপাট চালাচ্ছেন। তিনি ওই পাঁচজনকে ‘ডাকাত’ হিসেবেও অভিহিত করেন। সম্প্রতি খেলোয়াড় তৈরির নার্সারি হিসেবে পরিচিত নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। এর বিরোধিতা করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। মহিউদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনিও মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেয়র থাকাকালে বিভিন্ন ‘অনিয়ম-দুর্নীতির’ ফিরিস্তি দিতে থাকেন।
প্রায় প্রতিদিনই দুই নেতার বক্তব্য-বিবৃতিতে একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টা চলছে। তবে হঠাৎ করে লালদীঘির মাঠে মহিউদ্দিন চৌধুরী ‘বোমা ফাটানো’কে ইঙ্গিতবহ বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী লালদীঘি মাঠের সমাবেশের মধ্যদিয়েই মূলত আগামী মেয়র নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। তিনি বর্তমান মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা এবং অযোগ্যতার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, মেয়রের কর্মকান্ডে খোদ প্রধানমন্ত্রীও ক্ষুব্ধ। আর এ কারণে রংপুরের মেয়রকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হলেও তাকে দেয়া হয়নি। মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়রকে অপসারণের প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ারও হুমকি দেন।
মহিউদ্দিন চৌধুরী
এদিকে গতকালও দুই নেতা সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। একে অপরের বক্তব্যের জবাবও দিয়েছেন তারা। দুপুরে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। আ জ ম নাছিরের অভিযোগের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ১৭ বছর মেয়র থাকা অবস্থায় আমি যদি কোনো অন্যায় করে থাকি, তাহলে আপনাকে (নাছির) বলতে হবে কি অন্যায় করেছি। কখনো জুলুম করিনি, কারো জায়গা দখল করিনি। আমি চেষ্টা করেছি টেক্স ছাড়া বাইরে থেকে টাকা এনে টুইনসিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে উন্নতি করতে। এখানে আমার অপরাধটা কোথায়? কোন অপরাধ করিনি, চ্যালেঞ্জ করলাম।
মহিউদ্দিন বলেন, অন্যায় আমি করি বা আপনি করেন, যেই করেন, তা সামনে আনার দরকার আছে। সংশোধন হওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নয়, তাকে আমি মেয়র হিসেবে বলেছি। খারাপ আচরণ করা ঠিক নয়। উঠতি একজন মেয়রের উক্তি সুন্দর হওয়া চাই। আলাপ-আলোচনা-কথাবার্তায় গাম্ভীর্য না থাকা ঠিক নয়। যে খারাপ উক্তি করেছেন, তার জন্য আমি দুঃখিত নই। প্রশ্ন করুন, সত্যবিষয় আমি উদঘাটন করবই। জনগণের ডিমান্ড নিয়ে আমার কথা বলার দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বলে মনে করি। লালদীঘি মাঠে সভা ডেকেছি অধিকার নিয়ে, কারো বিরুদ্ধে বলার জন্য সভা ডাকিনি। অন্যায় যে করবে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। বললে সংশোধন হবে।
এখানে হয়তো বা কেউ মনঃক্ষুণœ হতে পারে। মনঃক্ষুণœ হওয়ার কিছু নেই, আপনি অন্যায় করলে, আপনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা, সংশোধন করা, কথা বলা অধিকার আমি রাখি। তাছাড়া আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। অন্তর্জালা থেকে এসব বক্তব্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকে (নাছির) প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি সমর্থন করেছি। অন্তর্জালা থাকলে তো সমর্থন করতাম না। কিন্তু মেয়র হিসেবে তিনি অযোগ্য, অথর্ব। তিনি যদি সংশোধন হয়ে আসেন তাহলে আবারও তার পাশে থাকব।
আ জ ম নাছির উদ্দীন
দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী নিজমুখে মেয়র পদে মনোনয়ন ঘোষণা করেছেন, এ মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উনি বলেছেন, আমি ১২টা খুন করেছি, আমি হাসতে হাসতে গুলি করতে পারি। এটা কোথায় দেখেছেন উনি। সুস্থ মানুষের মুখে এ ধরনের বক্তব্য উচ্চারিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে মেয়র নাছির বলেন, উনি (মহিউদ্দিন) ১৭ বছর মেয়র ছিলেন। উনি সভাপতি আমি সাধারণ সম্পাদক। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। আমাদের ফোরাম আছে। ফোরামে উনার বক্তব্য দিতে পারতেন। যদি ফোরামে আলোচনার সুযোগ না পান তবে কেন্দ্রকে জানাতে পারতেন।
উনার (মহিউদ্দিন) কোনো কথার সত্যতা নেই। এ কথাগুলো কেন বলছেন, কী জন্য বলছেন এটি আমার কাছে অবাক লাগে। কেউ কেউ বলছেন, আসলে উনি বয়সের ভারে ন্যূব্জ হয়ে পড়েছেন বা উন্মাদ হয়ে গেছেন। আবার দুষ্টু লোকেরা বলছেন, উনি মেয়র হতে চেয়েছেন। এখন বয়স হয়ে গেছে। ভবিষ্যতেও অন্ধকার দেখছেন। কথা এক জায়গায় স্থির নেই। অনেক টাইপের কথা বলেছেন। ঢালাও অভিযোগ, ভিত্তিহীন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট কোনো কথাবার্তা নেই। ব্যর্থ, অযোগ্য এমন অভিযোগের জবাবে মেয়র বলেন, ১ বছর ৮ মাস ১৬ দিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। পাঁচ বছর পর ভোটাররা মূল্যায়ন করবে আমার কাজ। এত অল্প সময়ে এসে উন্নত, উন্নয়নশীল দেশ এমনকি আমাদের দেশেও এ ধরনের কথাবার্তা হয় না।
মহিউদ্দিন চৌধুরী ইয়াবা ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও খুনিদের সাথে নিয়ে লালদীঘির মাঠে সমাবেশ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন মেয়র। তিনি বলেন, ওই মঞ্চে কারা ছিল, কে ছিলেন। তাকে চট্টগ্রামের পুলিশ, নন্দনকানবাসী কী হিসেবে জানে। পাঠানটুলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি যে ২০১৩-১৪ সালে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের আপত্তিকর কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর ছিল। এগুলো কিসের আলামত। উনার লজ্জা থাকা উচিত।
আউটার স্টেডিয়ামের সুইমিং পুল নির্মাণকাজ বন্ধের আলটিমেটাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র নাছির বলেন, পাগলের অনেক পাগলামি। এগুলো আমি থোরাই কেয়ার করি। উনি ইরাকে ১০ হাজার যোদ্ধা পাঠাবেন বলেছিলেন। পাঠাইছেন? কাস্টমসের দুর্নীতিবাজদের তালিকা করবেন বলেছেন। করেছেন? এম এ লতিফের মাথায় লাঠি মারতে বলেছেন। উনার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। একই টেবিলে বসে ভাতও খাচ্ছেন। ছালাম সাহেবের ফাঁসি দাবি করছেন, আবার উনার মেজবানে সবার আগে গিয়ে বসে থাকছেন। উনি তো অনেক কথা বলেন। পাগলে কিনা বলে। গ্রæপিং অবসানের উদ্যোগ নেবেন কিনা জানতে চাইলে নাছির বলেন, আমি রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বলবেন, সেভাবে করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।