পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামকে ভালবেসে আজীবন সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকতেই এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মন্ত্রীত্বের অফার পেয়েও তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামবাসীর সত্যিকারের বন্ধু। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় বক্তারা একথা বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে কণ্ঠস্বর ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। উন্নয়নের কান্ডারী ছিলেন তিনি। লালদীঘি মাঠে তার জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতি, অশ্রু বিসর্জন তাই প্রমাণ করে। তিনি যেভাবে মানুষকে ভালোবেসেছেন মানুষও তার জানাজায় উপস্থিত থেকে তা জানান দিয়েছেন। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম অবিচ্ছেদ্য ইতিহাস। চট্টল বীর মহিউদ্দিন ছিলেন চট্টলা-বন্ধু, চট্টগ্রামের বন্ধু। ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিউদ্দিন চৌধুরী চশমা হিলে বহুবার গিয়েছেন। মৃত্যুর পর সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। তার স্মৃতি জাগরুক রাখতে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেবেন।
(বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, চট্টগ্রামকে ভালোবেসে, আমৃত্যু চট্টগ্রামবাসীর কাছে থাকার জন্য মন্ত্রিত্ব নেননি মহিউদ্দিন চৌধুরী। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সবাই নেতা হয় না। ভোটে পদ পাওয়া যায় শুধু। নেতা হওয়া যায় না। মহিউদ্দিন চৌধুরী বড় মাপের মানুষ, গণমানুষের নেতা। তিনি দেশকে ভালোবেসেছিলেন। সারাদেশের মানুষ তাকে চিনতেন। চট্টগ্রাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী একাত্ম। স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী প্রমুখ। বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলমের সভাপতিত্বে সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হক চৌধুরী নওফেল। স্মরণসভায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সিইউজের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক এবং মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর ভোরে ইন্তেকাল করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।