Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপু থেকে অবন্তি অবশেষে অপু ইসলাম খান

প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:১৩ পিএম, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার সাকিবের সিনেমার পর্দা ও বাস্তব জীবনের সঙ্গিনী বগুড়ার এক দরিদ্র কিন্তু সংষ্কৃতি সচেতন পরিবারের মেয়ে অপু বিশ্বাসের উত্থান ও সিনেমার মতোই চমকপ্রদ বলে জানিয়েছেন তার পরিচিতজনরা। অনেকেই বলেছেন, বগুড়ার কালচারাল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে চলচ্চিত্রে তার বিস্ময়কর উত্থানের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু সাফল্যের চ‚ড়ায় ওঠার পর ব্যস্ততার কারণে পেছনের দিনগুলো মনে রাখেননি তিনি। তবে গতকাল মঙ্গলবার তার পরিচিতজনদের সবাই তার মঙ্গল কামনা করে বলেছেনÑ সিনেমার পর্দার মতোই বাস্তবেও যেনো তাদের জীবন সুখময় হয়!
বগুড়ার কালচারাল অঙ্গনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৯৭-৯৮ এর দিকে অপু বগুড়ার আমরা ক’জন শিল্প গোষ্ঠীর সদস্য হন তার মামার হাত ধরে। বগুড়ার আলোর মেলা ও পরে ইয়াকুবিয়া স্কুলের কিশোরী ছাত্রী হিসেবে তিনি দ্রæতই সংগঠনটির নৃত্যকলা, আবৃত্তি ও অভিনয় শাখার অপরিহার্য চরিত্রের স্থান দখল করে নেন। বগুড়ার নৃত্য গুরু আমরা কজন শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সামাদ পলাশেল স্নেহধন্য হিসেবে তিনি সাংষ্কৃতিক অঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। মা জোছনা বিশ্বাসের প্রেরণায় তিনি রাজধানী ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সংকল্পে বলিয়ান হয়ে ওঠেন। ‘আমরা কজনের’ সূত্র ধরে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের স্বত্বাধিকারী ফরিদুর রেজা সাগর ও চলচ্চিত্র পরিচালক সুভাষ দত্তের সাথে পরিচিতি গড়ে ওঠে তার। বগুড়ার মেয়ে হিসেবে চলচ্চিত্রে ব্রেক দেন সুভাষ দত্ত। সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ‘ও আমার ছেলে এবং আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় কাল সকাল নামে দু’টি চলচ্চিত্রে অপু অবন্তী নামে অভিনয় করেন। একই সময়ে কয়েকটি বিজ্ঞাপন চিত্রেও অভিনয় করেন তিনি। ২০০৪-৫ সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকার সিনেমা জগতেও অপু ক্রমেই পরিচিত হয়ে ওঠেন। তবে সাকিব খানের বিপরীতে কোটি টাকার কাবিন নামের সিনেমাটি ব্যবসা সফল হয় ও তাকে তারকা খ্যাতি এনে দেয়। এরপর থেকে সাকিবের সাথে গভীর সম্পর্কের কারণে সাকিব খান তার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে অপু বিশ্বাসকে কাস্ট করার কথা বলে দিতেন বলে শোনা যায়। তবে সাকিবের পাশাপাশি নিজের তারকা খ্যাতির পর তিনি বগুড়ায় খুব একটা ফিরে তাকাননি। ২০১০ সালে একবার তিনি বগুড়ায় আসেন সাকিবকে নিয়ে। ওই সময় দত্তবাড়ির পূজামন্ডপ ও পরিদর্শন করেন। আমরা কজন শিল্পী গোষ্ঠীতে তার নৃত্যগুরু আব্দুস সামাদ পলাশ ও অন্যান্যদের সাথে দেখা করেন সংগঠনের একটা কল্যাণ ফান্ড গঠনেরও ঘোষণা দেন। তাকেও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় সংবর্ধনা। যদিও পরে তিনি ব্যস্ততার কারণে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে পারেননি অপু বলে জানিয়ে আব্দুস সামাদ পলাশ বলেন, ‘সে জন্যে গুরু হিসেবে কোনো আক্ষেপ নেই তার। অন্য সবার মতো তিনিও চান অপুর যেন সংসার ক্যারিয়ার সবকিছু ঠিকঠাক চলে। যেন ভালো থাকে অপু থেকে অবন্তি বিশ্বাস ও শেষে অপু ইসলাম খান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ