Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নবাব প্যালেস সংরক্ষণের দাবি বগুড়াবাসীর

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বগুড়া অফিস : ইনকিলাবসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রিয়ভাবে সংরক্ষিত বগুড়ার ঐতিহাসিক নবাব প্যালেসের শতবর্ষী দূর্লভ প্রজাতির জয়তুন গাছ কেটে ফেলার সংবাদটিই ছিল গতকাল বগুড়ায় দিনভর আলোচনার বিষয়।
গতকাল ইনকিলাবের পক্ষ থেকে বগুড়ার প্রতুতত্ব অধিদপ্তর, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, দুর্নিতি দমন কমিশন, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করে জানা গেছে, দুর্লভ জয়তুন গাছ কেটে ফেলার কাজটা সুস্পষ্ট ভাবে আইনের লঙ্ঘন হলেও বেআইনী ভাবে যারা ওয়াকফ’ লিল্লাহ ক্যাটাগরিভুক্ত নবাব প্যালেস কিনে নিয়েছেন অর্থ বিত্ত ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতার সাথে যুক্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা দ্বন্দে ভুগছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়ার সিভিল, পুলিশ, বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি যেহেতু সরাসরি প্রতœতত্ব অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন তাই তারা যদি ১৯৬১ সনের প্রতুতত্ব আইনের ধারা প্রয়োগে তাদের অফিসিয়ালি সাহায্য না চান তাহলে তাদের কিইবা করার আছে?
অপরদিকে প্রতুতত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকার গতবছর নবাব প্যালেসটি সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সরকার সংরক্ষণ এর সিদ্ধান্ত নিলেও অধিগ্রহণ করেনি। তাই তারা প্রভাবশালী ক্রেতাদের হাত থেকে প্যালেসটি রক্ষায় কিছুই করতে পারছেনা। দুর্নীতিদমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাব প্যালেস ওয়াকফ’ এ লিল্লাহ ভুক্ত সম্পত্তি এব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তারা ঢাকা ও কোলকাতা থেকে সংগ্রহ করেছেন। তারপরও কিভাবে প্যালেসটি বেআইনী পন্থায় বিক্রি হল সেটি তারা নিবীড় ভাবে তদন্ত কাজ চালাচ্ছেন। কিন্তু এই প্যালেসের ক্রেতারা তাদের ক্রয় এর যৌক্তিকতার দাবিতে হাইকোর্টে একটি রিট করায় এবং বগুড়ার আদালতেও পৃথক একটি মামলা থাকায় “সাবজুডিস ম্যাটার” হিসেবে তারও আর অগ্রসর হতে পারছেননা।
অন্যদিকে বগুড়ার সব স্তরের মানুষ ঐতিহাসিক এই প্যালেসটির স্থায়ী সুরক্ষার সার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নবাব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ