পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ভারত উপমহাদেশে মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থার ও রাজনীতির অগ্রদূত ছিলেন। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার কথা রাখার চেষ্টা করে গেছেন। মুসলমানদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এবং রাজনৈতিক ভাবে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে ও প্রস্তাবে ১৯০৬ সনের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার শাহবাগে প্রতিষ্ঠিত হয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ। ১৯০১ সালে নবাব হওয়ার পরপরই ঢাকার প্রতিটি এলাকায় নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের নির্দেশ ছিল তার শিক্ষানুরাগী হিসাবে আত্মপ্রকাশের প্রথম ধাপ। তিনি শাহবাগের গোটা বাগানবাড়ীসহ আনুমানিক ৬০০ একর জায়গা দান করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে সুগম করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ নবাবকে এমনকি জন্মবার্ষিকী মৃত্যুবার্ষিকীতেও স্মরণ করে না। নতুন প্রজন্মকে নবাব সলিমুল্লাহ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে জানানোর লক্ষ্যে পাঠ্যসূচীতে নবাব সলিমুল্লাহর জীবনী অন্তর্ভুক্তি অত্যাবশ্যক।
গতকাল শনিবার বাদ যোহর নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১০৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে পল্টনস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনে আহ্বায়ক কে,এম রকিবুল ইসলাম রিপন, দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জসীমউদ্দিন, অতি: মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ.এ কাফী, খান আসাদ, শেখ এ সবুর, অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান সভা শেষে নবাব সলিমুল্লাহ রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।