Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে কৃষককুলে হাহাকার : দেখার কেউ নেই অতিরিক্ত মূল্যে ধানবীজ বিক্রি

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা : সিলেটের বিশ্বনাথে টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বোরো ধান। কৃষককুলের বুকফাটা কান্নায় আর হাহাকারে যখন আকাশ-বাতাস ভারি ঠিক তখনি বর্তমান আউশ ধান চাষের বীজ ক্রয় করতে বাজারে গিয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। এ যেন ‘মরার উপর খাড়ারঘা’ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিস নির্ধারিত ক্ষতিপয় অসাধু ডিলার। কর্তৃপক্ষের নজরধারি না থাকায় ডিলাররা অসহায় কৃষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন লেখা ১০কেজি ধান বীজের বস্তা প্রতি ১শত থেকে সাড়ে ৩শত টাকা পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মুল্য আদায় করছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনও নিরব ভূমিকা পালন করছে। এতে কৃষক পরিবারের মধ্যে চাপা ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছে। কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানা যায় ডিলারদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা অনেকটা নিরুপায় হয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বীজ ক্রয় করছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানযায়, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজরে তাদের প্রায় ২১টি ডিলার রয়েছে। তার মধ্যে উপজেলা সদরের মেসার্স ফারুক এন্ড ব্রাদার্স-২, কিসমত ট্রেডার্স এন্ড মমতা বীজঘর ও বাগিচা বাজারের মঞ্জুর ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মূল্যে বীজ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার সৈয়দপুর সদুরগাঁও গ্রামের কৃষক জাহেদ শিকদার বলেন, তিনি উপজেলা সদরের নতুনবাজারস্থ কিসমত ট্রেডার্স এন্ড মমতা বীজ ঘর থেকে ২৮জাতের ১০কেজির ওজনের ২টি বীজের বস্তা ৯শত টাকায় ক্রয় করেছেন। তার ক্রয়কৃত বীজের বস্তায় ৩৫টাকা কেজি মূল্য নির্ধারণ রয়েছে। সে অনুযায়ি ১০কেজি প্রতি বস্তার মুল্য হয় সাড়ে ৩শত টাকা।
কামালপুর গ্রামের কৃষক আখতার বলেন, তিনি স্থানীয় বাগিচা বাজারস্থ মঞ্জুর ট্রেডার্স থেকে ২৮ ও ২১জাতের ধান বীজ সাড়ে ৩শত টাকা মুল্যের বস্তা সাড়ে ৪শত টাকা করে ক্রয় করেছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামশি পশ্চিম পাড়া গ্রামের জিলু মিয়া বলেন, বিশ্বনাথ নতুন বাজারস্থ মেসার্স ফারুক এন্ড ব্রাদার্স-২ থেকে ৪৮জাতের ১০কেজি ওজনের ৩শত ৬০টাকা মূল্যের তিন বস্তা ধানবীজ ২হাজার ১শত টাকায় ক্রয় করেন। এসময় তিনি দোকানের মেমো চাইলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী। তবে সাদা কাগজে হাতে লেখা একটি মেমো হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। অতিরিক্ত মূল্যে বীজ বিক্রির কারণ জানতে চাইলে মেসার্স ফারুক এন্ড ব্রাদার্স-২ পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে অতিরিক্ত মূল্যে বীজ ক্রয় করার কারণে অতিরিক্র মূল্যে বিক্রি করছেন।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার ও কৃষি কর্মকর্তা আলীনুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত মূল্যে বীজ বিক্রির বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বনাথ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ