স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে সৈয়দ শাহেদ রেজার সম্মিলিত ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ প্যানেল। গতকাল আগামী চার বছর বিওএর মসনদে বসার টিকিট পেয়ে গেছেন তিন সহ-সভাপতি, দুই উপ-মহাসচিব ও ১৭ সদস্য। ১১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও বিভিন্ন কোটাভুক্ত হয়ে আগেই নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলর ছিলেন ৮০ জন। ভোট দিয়েছেন ৭৬ জন।
উপ-মহাসচিব পদে ব্যাপক সাড়া ফেলা বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ইন্তেখাবুল হামিদ অপু ও সদস্য পদে সাবেক তারকা ফুটবলার দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন সহ-সভাপতি প্রার্থী সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক হুইপ মিজানুর রহমান মানু, কোষাধ্যক্ষে সাইক্লিং ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম ইমতিয়াজ খান বাবুল ও সদস্য পদে টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার হাসান মুনীর।
সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের সভাপতি ও জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায় ও জিমন্যাস্টিকসের সভাপতি শেখ বশির আহমেদ। কোষাধ্যক্ষ যথারীতি আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল। অলিম্পিক ডিসিপ্লিন ফেডারেশন কোটায় উপ-মহাসচিব পদে ইন্তেখাবুল হামিদ অপু সরে দাঁড়ানোয় বিনা বাধায় উতরে যান হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূর ও ভলিবলের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু। রিজিওনাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কোটায় সদস্য পদে ঢাকা বিভাগের কাউন্সিলর দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলে চট্টগ্রামের সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর, খুলনার মোর্ত্তজা রশিদী দারা ও রাজশাহীর মাহমুদ জামালের নতুন পরিচয় হলো বিওএর সদস্য হিসেবে। ফেডারেশন কোটায় ১৪টি সদস্যের বিপরীতে তথাকথিত প্যানেলের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন একমাত্র প্রার্থী টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার হাসান মুনীর। প্যানেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরেছেন। সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সভাপতি নুরুল ফজল বুলবুল, হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক, সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ, কুস্তির তাবিউর রহমান পালোয়ান, বক্সিংয়ের এমএ কুদ্দুস খান, টেনিসের মোহাম্মদ আলী দ্বীন, ব্যাডমিন্টনের আমির হোসেন বাহার, ফুটবল ফেডারেশনের শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, অ্যাথলেটিকসের আবদুর রকীব মন্টু, তায়কোয়ান্ডোর মাহমুদুল ইসলাম রানা, রোয়িংয়ের হাজী খোরশেদ, জিমন্যাষ্টিকসের আহমেদুর রহমান বাবলু ও জুডোর একেএম সেলিম।
এর আগে বর্তমান সভাপতি জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক ও মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মূলত ১৯৯৬ সাল থেকেই সেনাবাহিনীর প্রধানরা পদাধিকারবলে বিওএর সভাপতি পদ অলংকৃত করে আসছেন। সাধারন কোটার সহ-সভাপতি পদে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও বিওএর বর্তমান সহ-সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, উপ-মহাসচিব নজিব আহমেদ, মহিলা ক্রীড়া সংস্থায় কোটায় সহ-সভাপতি মাহবুব আরা গিনি, সদস্য হামিদা বেগম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. ওমর ফারুক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, স্পেশাল অলিম্পিকের আসাফ উদ দাওলা, নন-অলিম্পিক ফেডারেশন কোটায় কেএম শহিদুল্লাহ ও মাল্টি গেমস স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কোটায় লে. কর্ণেল মো. ওসমান সারোয়ার বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
কার ঝুলিতে কত ভোট
সহ-সভাপতি পদে শেখ বশির আহমেদ ৬৪, বাদল রায় ৭০ ও নাজিম উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৬৪ ভোট। উপ-মহাসচিব পদে আশিকুর রহমান মিকু ৬৮ ও ৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আসাদুজ্জামান কোহিনুর। ইন্তেখাবুল হামিদ পেয়েছেন ২০ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে কাজী রাজীবউদ্দিন আহমেদ চপল ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ইমতিয়াজ খান বাবুল পেয়েছেন ১৪ ভোট। রিজিওনাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (রোয়া) কোটায় সিরাজউদ্দিন আলমগীর ৬৯, মোর্ত্তজা রশিদি দারা ৬৮ ও মাহমুদ জামাল ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল পেয়েছেন ১২ ভোট। সাধারণ সদস্য পদে একেএম নুরুল ফজল বুলবুল ৭১, আবদুস সাদেক ৬৯, এমবি সাইফ মোল্লা ৭০, আমির হোসেন বাহার ৬৮, দ্বীন মোহাম্মদ ৬৮, তাবিউর রহমান পালোয়ান ৭১, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর ৭১, এমএ কুদ্দুস খান ৭১, একে সরকার ৭১, মাহমুদুল ইসলাম রানা ৬৯, হাজী খোরশেদ ৬৯, অ্যাডভোকেট রকিব উদ্দিন মন্টু ৭০ ও সেলিম ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে খোন্দকার হাসান মুনীর পেয়েছেন মাত্র ১৭ ভোট।