Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৩৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ, পুলিশের মামলা দায়ের

বিশ্বনাথের পল্লীতে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত আটক-২৫

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা : সিলেটের বিশ্বনাথের পল্লীতে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও গ্রামের আবুল খায়ের লালা মিয়া ও লেচু মিয়া গংদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে দুই এসআইসহ চার পুলিশ আহত হন। তারা হলেনÑ এসআই রাজিব রহমান, এসআই বিণয় ভ‚ষণ চক্রবর্তী, কনস্টেবল ছালেহ আহমদ ও আবদুুল কুদ্দুস। সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে মধ্যস্থতাকারীসহ ২৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, মধ্যস্থতাকারীদের কয়েকজনকে আটক করে যাচাই-বাছাই না করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জনা গেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আটকৃতদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের এসআই বিণয় ভ‚ষণ চক্রবর্তী বাদী হয়ে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর (৪)। ওই মামলায় আটকৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলে সিলেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। আটকৃতরা হচ্ছেÑ মির্জারগাঁও গ্রামের এবাদুর রহমান (৪৫), গোলাম মওলা (৩২), সুমন আহমদ (২৬), জাহাঙ্গীর হোসেন (২৩), আক্তার আলী (২৮), সোমেল আহমদ (২০), রায়হান উদ্দিন (৩৩), আবু সাইফ (২৩), তানভীর আহমদ (২০), আলী আকবর (২৩), খসরু মিয়া (৩৮), হামিদুল হক (৩০), সাইফুল আলম (২৮) উকিল আলী (২৬), রহমত উল্লাহ (২২), সোয়েব আলী (২০), আবুল কাসেম (২৮), আবদুল্লাহ (৩৯), ফজর আলী (৩২) গোলাম আজম (৩২), পাশের মাহতাবপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩০), সুমন (১৮), সোনাপুর গ্রামের আব্দুর রহমান (৩২), চন্দ্র গ্রামের সুরঞ্জিত কর (২৮) ও এসএমপি জালালাবাদ থানার ফতেহপুর গ্রামের ফয়সল আহমদ (২৮)। এ তালিকা থেকে ১২ জন মধ্যস্থতাকারীকে শনাক্ত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়সল আহমদ। তারা হলেনÑ গোলাম মওলা, জাহাঙ্গীর হোসেন, আবু সাইফ, খসরু মিয়া, হামিদুল হক, উকিল আলী, আবুল কাসেম, নজরুল ইসলাম, সুমন, আব্দুর রহমান, সুরঞ্জি কর ও ফয়সল আহমদ।
আর সংর্ঘষের সময় আবুল খায়ের লালা মিয়ার পক্ষে আহত হয়েছেন কুতুব উদ্দিন, কালা মিয়া, আব্দুন নুর, সুয়েব আহমদ, সুমেল মিয়া, মাইনুদ্দিন, আমির আলী, আত্তর আলী, আবদুস ছালাম। তবে অপর পক্ষের লোকজন তাদের আহতদের নাম দিতে নারাজ। আহতদের কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়সল আহমদ ও এনামুল হক বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের আটক করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় আসামি করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, আগামীতে কোনো গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে গ্রেফতার আতঙ্কে আর কোনো মানুষ মধ্যস্থতা করতে যাবে না। তবে থানর ওসি মনিরুল ইসলাম পিপিএম আটকৃতদের সবাই সংঘর্ষের সাথে জড়িত ছিল বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ