নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : মাসজুড়েই ব্যস্ত সূচী। রয়েছে ‘এল ক্ল্যাসিকো’ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের মহাগুরুত্বপূর্ণ দুই লেগের মত ম্যাচ। লা লিগার শীর্ষস্থানধারী তিন দলকেই তাই এপ্রিল পাড়ি দিতে হবে কঠিন সব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। এর মধ্যে অবশ্য সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে যেমন আছে রিয়াল মাদ্রিদ, বাধাও তাদের সামনেই বেশি। সেই বাধার প্রথম নামটি হল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাবুতে মাদ্রিদ ডার্বিতে আজ মুখোমুখি হচ্ছে দুই নগর প্রতিদ্ব›দ্বী।
লা লিগার শিরোপা নির্ধারণের জন্য রিয়ালের কাছে যেমন ম্যাচটি গুরুত্ব পাচ্ছে বিশেষভাবে, তেমনি অ্যাটলেটিকোর চ্যালেঞ্জ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ তিন নিশ্চিত করে পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিত করা। ফিকে হয়ে আসা লিগ শিরোপার জন্যও বা কেন নয়। এক ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষে থাকা রিয়ালের চেয়ে ১০ পয়েন্ট পিছনে ডিয়েগো সিমিওনের দল। এখনো আট রাউন্ডের খেলা বাকি। জয়-পরাজয়ের প্রশ্নে হাল ছেড়ে দিলে চলবে কেন। বার্সেলোনা সমর্থকরাও চাইবেন দিনটা যেন অ্যাটলেটিকোরই হয়। সেক্ষেত্রে আজ মালাগাকে হারিয়ে শীর্ষস্থান দখলে নেয়ার সুযোগ থাকছে বার্সার সামনে।
সব হিসাব জানা। জিদেদিন জিদানও তাই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন আটঘাট বেঁধেই। শেষ ম্যাচে লেগানেসের বিপক্ষে নিয়মিত একাদশের নয়জন খেলোয়াড়কে রাখেন বিশ্রামে। সেই তালিকায় ছিলেন আক্রমণের প্রধান তিন অস্ত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলরাও। তাতে অবশ্য তাদের জয়ের ধারায় ছেদ পড়েনি। ৪-২ গোলের জয় নিয়েই ফেরে ‘লস বø্যাঙ্কোস’রা। এমনিতেই জয়ের ধারাতেই আছে তারা। জিতেছে টানা ছয় ম্যাচ। টানা ৫১ ম্যাচে গোল করে ভেঙেছে নিজেদের রেকর্ড। তাছাড়া যাদের নিয় এতো চিন্তা সেই অ্যাটলেটিকোর মাঠ থেকে প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরার স্মৃতি তো জিদান শিষ্যদের এখনো টাটকা। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদো।
অনুপ্রেরণা পাওয়ার মত যথেষ্ঠ শক্ত পরিসংখ্যান আছে অ্যাটলেটিকোর ভান্ডারেও। চার বছর হতে চলল বার্নাবুতে হারেনি লস রোজিবø্যাঙ্কোসরা। একমাত্র দল হিসেবে রিয়ালের মাঠে শেষ তিন ম্যাচেই জয়। সর্বশেষ ম্যাচে গোল পাওয়া অঁতোয় গ্রিজম্যানও তাই নিজেদেরকেই এগিয়ে রাখলেন, ‘আমি আমাদেরকেই ফেভারিট হিসেবে দেখছি। সতীর্থ ও কোচের মত আমিও তাই মনে করি।’ শেষ পাঁচ ম্যাচে তাদেরও রয়েছে শতভাগ জয়। টানা ছয় ম্যাচ নিজেদের জাল অক্ষত রেখে ‘বিবিসি’কেও একটা বার্তা দিয়েই রেখেছেন ডিয়াগো গদিনরা।
তবে একজনকে নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতেই হচ্ছে সিমিওনেকে। না, রোনালদোকে নিয়ে নয়, সার্জিও রামোসকে নিয়ে। দু’দল মুখোমুখি হলেই যেন ‘হেডারের’ একটা ভূত চেপে বসে বার্নাব্যু অধিনায়কের ঘাড়ে। শেষ তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুমের দুই ফাইনালে তো তার কাছেই হারতে হয়েছে গ্রীজম্যানদের। গ্রীজম্যান অবশ্য এতকিছু ভাবছেন না। তার ভাষায়, ‘আমাদের জিততেই হবে, সেটা যতটা না পয়েন্টের জন্য তার চেয়েও বেশি আমাদের সমর্থকদের জন্য।’
জয়ের প্রত্যয় রিয়াল শিবিরেও। নিজেদের ওয়েবপেজে তারা বলেছে, ‘অতীতে কত জয় পেয়েছো তা আকড়ে তুমি বেঁচে থাকতে পার না। তোমার লক্ষ্য অটুট রাখতে হবে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে শিরোপা জয়ের উপর। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা দুটোই জিততে পারি।’ তার মানে শুধু মাদ্রিদ ডার্বি নয়, ২৩ এপ্রিলের ‘এল ক্ল্যাসিকো’ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের ম্যাচ নিয়েও এখনি ভাবা শুরু করেছে রিয়াল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।