পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ-শ্রীলংকার দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ ছাপিয়ে আজ ম্যাচটি গন্য হচ্ছে মাশরাফির ফেয়ারওয়েল ম্যাচে। আজ টস থেকে শুরু করে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পর্যন্ত সবার চোখ নিবিষ্ট থাকবে লড়াকু মাশরাফির দিকে। ঘোষণা দিয়ে টি-২০কে আজ বিদায় জানাচ্ছেন সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক (২৮ ম্যাচে ৯ জয়)। অধিনায়ক মাশরাফির ফেয়ারওয়েল ম্যাচে দারুণ কিছু উপহার দিতে প্রত্যয়ী সতীর্থরা। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আবেগ ছুঁয়ে যাওয়া এই অদম্য ক্রিকেট যোদ্ধার সংক্ষিপ্ত আসরের ক্রিকেটে বিদায়ী ম্যাচে জয় উপহার দেয়ার সংকল্প বাংলাদেশ দলের। গতকাল প্রেমাদাসায় সংবাদ সম্মেলনে সে প্রত্যয়ের কথাই শুনিয়েছেন তরুন মোসাদ্দেকÑ‘কালকে (আজ) জয় ছাড়া বিকল্প কিছুই নেই। দলের সবাই কালকে মাশরাফি ভাইয়ের জন্য খেলবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি দ্বিতীয় টি-২০ খেলবো শুধু মাশরাফি ভাইয়ের জন্য। আমরা সবাই চাইব ওই ম্যাচ জিতে তাকে বিদায়ী উপহার দিতে।’
টি-২০তে শ্রীলংকার বিপক্ষে রেকর্ড মোটেও ভালো নয় বাংলাদেশের। ৬ ম্যাচে জয় মাত্র একটি। তবে হার দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু করে সেই সিরিজ ১-১ এ সমতা এবং ওয়ানডে সিরিজও ড্র’ করায় শ্রীলংকা থেকে আর একটি সিরিজে সমতার গল্প রচনায় প্রেরনা অধিনায়ক মাশরাফি। প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৬ উইকেটে হেরে যাওয়া বাংলাদেশকে আজ অন্য চেহারায় দেখবে বিশ্ব, সিরিজ সমতায় সে ছকই আঁকছে দল। এমনটাই জানিয়েছেন মোসাদ্দেকÑ‘একটা ম্যাচ জেতার পর সবার মধ্যে যে আনন্দ থাকে, একটা ম্যাচ হারার পর সবার মধ্যে তার ঠিক বিপরীত কিছু হয়। বেদনায় বিষণœ হয়ে পড়ি। গত ম্যাচ হারের পর সবার মধ্যেই সেই বেদনা কাজ করছে। আমাদের সামনে একটাই ম্যাচ, সেই ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করার চেষ্টা করব।’ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আজ ছন্দময় ক্রিকেটের প্রতিজ্ঞা বাংলাদেশ দলের। সেই বার্তাটাই দিয়েছেন মোসাদ্দেকÑ‘টি-টোয়েন্টিতে অনেক বেশি ইতিবাচক থাকতে হয়, অনেক বেশি আক্রমণাত্মক থাকতে হয়। আমাদের ব্যাটসম্যানদের সবাই ছন্দে আছে, সবাই রান পাচ্ছে। তারা যদি শেষ করে আসতে পারে তাহলে আমাদের জেতা সম্ভব।’
বন্ধু টেস্ট ক্রিকেটার মানজারুল ইসলাম রানা মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে ওই শোক এতোটাই স্পর্শ করেছিল যে, ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনই করতে পারেননি মাশরাফি। ডুকরে ডুকরে কেঁদেছেন। ত্রিনিদাদে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মানজারুল রানার জন্য কিছু একটা করবেন বলে করেছিলেন সংকল্প। বোলিংয়ে ভারতকে ছিন্ন ভিন্ন করে, ম্যাচ জিতিয়ে শোককে শক্তিতে পরিণত করার সে সংকল্পের কথাই জানিয়েছিলেন মাশরাফি। বাংলাদেশের জন্য হৃদয় নিংড়ে বার বার সেরাটা দিয়েছেন যিনি, তার টি-২০ ফেয়ারওয়েল ম্যাচে সতীর্থদের কাছ থেকে প্রতিদান পাওয়ার পালা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।