বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী ব্যুরো : উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় নির্বাচিত মেয়রের চেয়ারে বসা নিয়ে নানা ঘটনা আর বসার কিছুক্ষণ পর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ফের বরখাস্তের পর গতকাল রাজশাহী নগর ভবন ছিল প্রাণহীন। অন্য সময় নগরবাসী বিভিন্ন কাজ নিয়ে ভীর জমালেও গতকালের চিত্র ছিল ভিন্ন। একেবারে ফাঁকা ফাঁকা। কোনো কিছু ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় অনেকে পা মাড়াননি ওপথে। মেয়রের কক্ষটি ছিল তালাবদ্ধ। কর্মকর্তারা নিজ কক্ষে বসে সময় কাটান। কজন কাউন্সিলর এলেও তারা তাদের কক্ষে সময় কাটান। চলমান ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলেনি। তবে ফিসফিসানী ছিল হচ্ছেটা কি? সাধারণ কর্মচারীদের ভাবনা তাদের বেতন ভাতা নিয়ে। অনেকের প্রশ্ন ছিল এখন নগর ভবনের অভিভাবক কে ? আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযিম কি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। নাকি ফের অন্য কেউ দায়িত্ব পাবেন। এনিয়ে গুঞ্জন থাকলেও কারো কাছে এর ব্যাখ্যা মেলেনি। যদি প্যানেল মেয়র হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয় তবে ফের নিযাম দায়িত্ব পাবার সম্ভাবনা। নিযামের ঘনিষ্ট সুত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়রের পদ থেকে সরে যাবার কোন চিঠি আসেনি।
এদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচিত মেয়র বুলবুলকে দায়িত্ব দিতে গড়িমসির পর ক্ষণিকের জন্য চেয়ারে বসার পর ফের বরখাস্তের আদেশের বিষয়টি সকলের ছিল মুখে মুখে। সমালোচনার পাল্লাটাই ছিল ভারী। বিশেষ করে আদালতের নির্দেশনার পর ফের বহিস্কার নিয়ে। সচেতন মহল সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন স্থানীয় সরকার ও সরকারের জন্য এটি মোটেও সুখকর হবে না। এতে গণতন্ত্রের চর্চা আরো ব্যাহত হবে। বাজারে চায়ের ঝুপরিতে অফিস আদালত পাড়া মহল্লা সর্বত্র একই আলোচনা। কেউই বিষয়টা সহজভাবে দেখছেন না। বরখাস্তের পক্ষের লোকজন বলছে কেউই আইনের ঊর্দ্ধে নয়। নিশ্চয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইন দেখেই কাজটি করেছেন। এরপরও কারো কারো মন্তব্য ছিল যখন সারা বিশ্বের এমপিরা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। ঠিক এ মুহুর্তে কাজটা করা ঠিক হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।