নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : ফাইনাল ম্যাচের আগের দিন শ্রীলংকা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলা পেরেরা বলেছিলেন, ‘ফাইনালে আমরাই ফেবারিট। আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েই ঘরে ফিরবো।’ তার সেই দীপ্ত কণ্ঠের আগাম ঘোষণা, দলের খেলোয়াড়রা ফাইনাল ম্যাচটিতে বাস্তব রূপ দিয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে লংকানরা। সেমিফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ১৭৯ রানে গুঁটিয়ে দিয়ে ম্যাচটি জিতেছিল লংকানরা ৮ উইকেটে। ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে মাত্র ১৩৩ রানে গুঁটিয়ে দিলেও লো-স্কোরিং এই ম্যাচটি জিততে ৫ উইকেট হারাতে হয় তাদের। বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছেন শিহান জয়সুরিয়া। ৩৩৮ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন লংকান অলরাউন্ডার আশালংকা।
ফাইনাল ম্যাচের আধঘণ্টা আগে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান দলপতি মোহাম্মদ রিজওয়ান। এর মিনিট দশেক পরই শুরু হয় হালকা বৃষ্টি। স্বল্পসময়ের মধ্যে বৃষ্টি থেমে গেলেও ফাইনাল ম্যাচটি বেলা দুইটার পরিবর্তে আড়াইটায় শুরু হয়। দলীয় ১২ রানেই ওপেনার ইমরান বাটকে (৫) করুণারত্নের ক্যাচ বানান আসিথা ফার্নান্ডো। দলকে ১৯ রানে রেখে আরেক ওপেনার হোসাইন তালাত (১০) উইকেট কিপার সাদিরার হাতে ক্যাচ দিয়ে করুণারতেœর প্রথম শিকারে পরিণত হন। পাকিস্তান ২৫ রানে যেতেই ডি-সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে করুণারতেœর দ্বিতীয় শিকার হন হ্যারিস সোহেল (৩)। শুরুর এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। এরমধ্যে দলীয় ৪২ রানে স্পিনার লাহিরু সামারাকোনের বলে উইকেট কিপার সাদিরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ওয়ান ডাউনে নামা বিলাল আসিফ (১১) আউট হয়ে ফিরে গেলে পাকিস্তান আরো বিপদে পড়ে যায়। দলীয় ৫০ রান পূর্ণ করতেই ১৫.১ ওভার লেগে যায় পাকিস্তানের। সেমিফাইনালের সেঞ্চুরিয়ান পাকিস্তান দলপতি রিজওয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহকে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩২ রান সংগ্রহ করে আশার আলো দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু স্পিনার শিহান জয়সুরিয়ার ঘূর্ণি জাদুতে দলকে চরম বিপদে ফেলে বোল্ড হয়ে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক রিজওয়ান (২৬)। জয়সুরিয়াকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্রস ব্যাট চালান রিজওয়ান। বলটি টার্ন নিয়ে তার ব্যাট ও প্যাডের মাঝ দিয়ে লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। দলীয় ৮১ রানে খুশদিল শাহকেও (২০) বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন জয়সুরিয়া। এবার তার বল খুশদিলের অফ স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। জয়সুরিয়ার তৃতীয় শিকার জাফর গুহর (০)। জয়সুরিয়াকে উড়িয়ে মেরেছিলেন জাফর। লংঅনে করুণারতেœর দারুণ এক ক্যাচে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। দলকে ৮৫ রানে রেখে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে জাফর যখন আউট হন তখন ঘোরতর বিপদে পাকিস্তান। দলটি শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারবে কিনা কিংবা দেড়শ’ রানের আগেই গুঁটিয়ে যাবে কিনা তা নিয়েই সংশয় দেখা দেয়। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৭ রান তুলে নিয়ে দুই ব্যাটসম্যান ওসামা মীর ও আজম দলকে শতরান পার করান। ৩৩.১ ওভারে জয়সুরিয়াকে লংঅন দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় শতরান পূর্ণ করেন ওসামা। দলীয় ১৩২ রানে ওসামা (২৬) ডি-সিলভার বলে বোল্ড হয়ে ফেরার পর ভেঙ্গে যায় এই জুটি। দলকে ১৩২ রানে রেখে ডাউন দ্য উইকেটে এসে স্পিনার আমিলা অপুন্সুকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন আজম (২৫)। ৪২.১ ওভারে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে গোলাম মুদাচ্ছেরকে বোল্ড করে ডি-সিলভা পাকিস্তানকে ১৩৩ রানে গুঁটিয়ে দেন। ১৩৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে নেমে ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে লংকানরা। তবে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান কিথরুহান ও ডি-সিলভা ষষ্ঠ উইকেটে ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত ২৩.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে ফাইনাল ম্যাচটি জিতে নিয়ে শিরোপামুকুট পড়ে লংকানরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।