বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে পুলিশ সদস্যের স্ত্রী সাদিয়া জাহান তুলি হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ নথি ও প্রদর্শনী কাগজ আদালত থেকে হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মামলার আসামী সাদিয়া জাহান তুলির স্বামী পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল মোঃ মশিউর রহমান বিচার বিঘিœত করতে আদালতের অসাধু কর্মচারীদের সহায়তায় এ কাজ করেছে বলে মামলার বাদী মোঃ নেছার উদ্দিন মোল্লা অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনায় গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজী নজমুল ইসলাম ও সেরেস্তা সহকারী মহর উদ্দিন ফকিরকে শো-কজ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নাজির আহম্মেদ তার আদালতের দু’কর্মচারীকে শো-কজ করেছে বলে ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার মহানন্দ রায় নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ছাগলছিড়া গ্রামের মোঃ নেছার উদ্দিন মোল্লার মেয়ে সাদিয়া জাহান তুলিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের মফিজুর রহমান পাপার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মশিউর রহমান বিগত ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে করে। এ সময় মশিউর রহমান গাজীপুর জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও পরিবারের সদস্যরা তার ওপর নির্যাতন করে আসছিলো। বিয়ের ১০ মাস পর ২০০৫ সালের ২৭ নভেম্বর স্বামী ও পরিবারের লোকজন যৌতুকের টাকা না পেয়ে সাদিয়া জাহান তুলিকে নির্যাতন করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে তুলির পিতা মোঃ নেছার উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে তুলির স্বামীসহ পরিবারের ৬ সদস্যকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী নেছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ইতোমধ্যে এ মামলার ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারিত ছিলো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই হুমায়ূন কবির এ দিন আদালতে হাজির হন। তার সাক্ষ্য প্রতিপক্ষের আইনজীবী জেরা করাতে গেলে আদালত থেকে জানানো হয় ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ নথি ও প্রদর্শনী কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এদিন কোর্টে আর মামলার কার্যক্রম চলেনি।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমার জামাতা পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল মোঃ মশিউর রহমান বিচার বিঘিœত করতে আদালতের অসাধু কর্মচারীদের সহায়তায় এ কাজ করেছে বলে আমি সন্দেহ করছি। এতে আমাদের ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নথি খুঁজে বের করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য জেলা ও দায়রা জজ মোঃ দলিল উদ্দিনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মহানন্দ রায় বলেন, এ ব্যাপারে আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজী নজমুল ইসলাম ও সেরেস্তা সহকারী মহর উদ্দিন ফকিরকে শো-কজ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি জেলা দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জে এপিপি অ্যাড. শহিদুজ্জামান পিন্টু বলেন, নথি হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখনো আমাদের লিখিত কিছু জানানো হয়নি। এ নথি হারিয়ে গেলে কোর্ট সার্টিফাইড কপি দিয়ে বিচার কাজ চালিয়ে নিতে পারে। কিন্তু সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করা হলে মামলার ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।