নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগেই বৃষ্টি। প্রকৃতির এমন রোমান্টিকতা যেন নিজেকে বিছানায় আরো নেতিয়ে দেয়। কিন্তু গতকাল সকালে হ্যামিল্টনের বৃষ্টি কেন উইলয়ামসনের কাছে এমন রোমান্টিকতা বয়ে আনেনি, এনেছে একরাশ উদ্বেগ আর হতাশা। কে জানে রাতভর সেই ঝড়-বৃষ্টিতে হয়ত ঘুমই হয়নি নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের। এই বৃষ্টিই যে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তার দলের ১৩ বছর পর এক জয়ের আশা। অপ্রত্যাশিত ড্রয়ে তাই নিষ্পত্তি হয়েছে হ্যামিল্টনে সিরিজের শেষ টেস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কিউইদের জয়টাও অধরা ধাকল টানা ১৬ ম্যাচ।
শেষ দিনে প্রথম ইনিংসের ঘাটতি পূরণ করতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হত আরো ৯৫ রান, ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন তারা রীতিমতো ধুঁকছে। এমন দশায় একমাত্র প্রকৃতিই পারত তাদের বাঁচাতে। ভাগ্যের ফেরে প্রকৃতিকে পাশে পেয়েও গেল ফাফ ডু প্লেসির দল। দিনের পুরোটাই ভাসিয়ে নিয়ে গেল বেরসিক বৃষ্টি। আর কপাল পুড়ল নিউজিল্যান্ডের। নিজেও সেটা অকপটে স্বীকার করলেন প্রটিয়া অধিনায়ক, ‘সত্যি মূল্যায়নটা হল বৃষ্টিই আমাদের বাঁচিয়েছে।’ আর তাতে নিশ্চিত হয়ছে তার দলের ১-০ ব্যাধানের সিরিজ জয়। গত এক দশকে ভারতের মাটিতে (২০১৫-১৬ মৌসুমে) একটি সিরিজ ছাড়া দেশের বাইরে কোন সিরিজ না হারার কৃতিত্বও অক্ষুন্য রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা।
হ্যামিল্টনের বৃষ্টিতে কপাল পুড়েছে আরো এক দলের অস্ট্রেলিয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকা হারলেই আইসিসির টেস্ট র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানটা বহাল ধাকত অজিদের। কিন্তু তা না হওয়ায় অজিদের নেমে যেতে হয়েছে তিনে। আর তাতে তাদের আইসিসির থেকে ৫ লক্ষ ডলার প্রাপ্তি কমে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষে। দুইয়ে উঠে আসায় এই ৫ লাখ ডলার পাবে প্রটিয়ারা। অজিরা পাবে ২ লাখ ডলার। স্মিথের দলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রাখা ভারত পারে ১০ লক্ষ ডলার। চারে থাকা ইংল্যান্ড পাবে ১ লাখ। ১ এপ্রিলের র্যাংকিংয়ে নির্ধারিত হয় এই মূল্যায়ন।
উইলিয়ামসন অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঠিকই সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দিচ্ছেন। ১৭৬ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া উইলয়ামসন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে শেষ দিনটা ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়াটা ছিল হতাশার, তবে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের (সিরিজ) যোগ্য দাবিদার, ওয়েলিংটনে তারা ভালো খেলেছে।’
টেস্টটা স্বাগতিকরা শুরুও করেছিল উদ্বেগের মধ্য দিয়ে। চোটের কারণে এই টেস্টে ছিলেন না দলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনার রস টেলর, ১৬টি দলের বিপক্ষে যার জয়ের রেকর্ড রয়েছে। প্রধান দুই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিও একই কারণে ছিলেন একাদশের বাইরে, যাদের মিলিত উইকেট সংখ্যা ৩৯৪। এরপর টসেও হার। সেই দলই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩১৪ রানে গুটিয়ে লিড নিল ১৭৫ রানের। চতুর্থ দিন শেষে ৮০ রানে তুলে নেন প্রতিপক্ষের ৫ উইকেটও। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি কেড়ে নিল সব আশা। প্রথম তিন দিন মাঝে মাঝে বৃষ্টি বাগড়া দিলেও শেষ দিনে বলই গড়াল না মাঠে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩১৪ (ডি কক ৯০, ডু প্লেসি ৫৩, আমলা ৫০; হেরনি ৪/৯৩, ওয়াগনার ৩/১০৪, ডি গ্র্যান্ডহোম ২/৬২) ও ৩৯ ওভারে ৮০/৫ (আমলা ১৯, ডু প্লেসি ১৫*, ডি কক ১৫*; প্যাটেল ২/২২, হেনরি ১/২০, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/১৫)।
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৮৯ (উইলিয়ামসন ১৭৬, রাভাল ৮৮, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫৭; মর্কেল ৪/১০০, রাবাদা ৪/১২২)। ফল : ম্যাচ ড্র।
সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : কেন উইলিয়ামস (নিউজিল্যান্ড)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।