Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার বাম্পার ফলনের আশা মাগুরার ৩০ গ্রামে লিচু গাছের ডালে ডালে মুকুলের সমারোহ

| প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে : মাগুরা জেলার লিচুপল্লী হিসেবে খ্যাত সদর উপজেলার হাজরাপুর, মিঠাপুর, ইছাখাদা,খালিমপুর, হাজিপুরসহ ৩০ গ্রামে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন এলাকার কৃষকরা। পরিবেশ পক্ষে থাকায় গাছে লিচুর ব্যাপক মুকুল দেখা দেয়। ইতোমধ্যে ফল ধরতে শুরু করেছে। প্রায় প্রতিটি গাছে বিপুল পরিমাণ লিচুর ফল দেখা যাচ্ছে। কোনো দুর্যোগ দেখা না দিলে সংশ্লিষ্ট চাষিরা লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। গত বছরের ক্ষতি এবার পুষিয়ে যাবে এমনটাই আশা তাদের। প্রতি বছরই এখানকার চাষিরা লিচু বিক্রি করে লাভবান হয়ে থাকেন। গত দুবছর বিরূপ আবহাওয়া আর কৃষি বিভাগের উদাসীনতায় এলাকার চাষিরা ফলন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। মাগুরা শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরত্বে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের ইছাখাদা পৌঁছিলেই চোখে পড়ে রাস্তার দুপাশে সারি সারি লিচু বাগানে থরে থরে ধরে থাকা লিচুর এ মনোরম দৃশ্য। এ লিচুপল্লীতে দেড় হাজার লিচু বাগান রয়েছে। লিচু চাষে অনেক চাষির ভাগ্য বদলে দিন দিন অন্যরা উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে আসায় এলাকা লিচুর চাষে বিপ্লব ঘটে। এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় লিচুমেলা। মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসে ব্যাপারিরা। সমাগম হয় বিপুলসংখ্যক মানুষের। মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর, রাঘবদাইড়, হাজিপুর ইউনিয়নের মিঠাপুর, ইছাখাদা, খালিমপুর, রাউতাড়া, মির্জাপুর, বামনপুর, আলমখালী, বীরপুর, বেরইল, লক্ষীপুর, আলাইপুর নড়িহাটিসহ ৩০ গ্রামের চাষিরা গত ২১ বছর ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচুর আবাদ করে আসছেন। মাগুরার চাষিরা বেদানা, মোজাফ্ফর, চায়না থ্রী ও বোম্বাই জাতের লিচুর চাষ করে। যা ক্রেতাদের কাছে খুবই প্রিয়। আর এ কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারিরা এখানকার লিচু আগেভাগে কিনে পরিচর্যা করে অন্যত্র বিক্রি করে লাভবান হন। এ কারণে এলাকার লিচু জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রতি বছর ব্যাপারিরা লিচু কিনতে ভিড় জমান। এলাকা হয়ে ওঠে জমজমাট। ট্রাক ট্রাক লিচু এখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যায় ব্যাপারিরা। তবে ইতোপূর্বে প্রতি বছর লিচুমেলা অনুষ্ঠিত হলেও গত দুবছর রাজনৈতিক কারণ এবং এলাকার লিচু বিপ্লবের মূল হোতা ওলিয়ার রহমান মারা যাওয়ায় লিচুমেলা করা সম্ভব হয়নি বলে জানান লিচুমেলার আয়োজকরা। এর ফলে আগের মতো লিচুমেলা হবে কিনা তা নিয়ে কৃষকদের সংশয় রয়েছে। জনৈক লিচু চাষি জানান, তার বাগানে ৫০টি লিচু গাছের প্রতি গাছে ৪ হাজার করে লিচু উৎপাদন হয় যা ৫ লাখ টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। লিচু চাষিরা জানান, বিগত বছরগুলোর মতো এবারো ব্যাপকভাবে লিচুর ফুল ও ফল ধরেছে। আবহাওয়া অনুক‚ল থাকলে উৎপাদন ভালো হবে বলে তাদের আশা। তারা জানান, লিচুর পরিচর্যা এখন নিজেরাই করা শিখে ফেলেছে। তবে বৃষ্টি না হলে লিচুর আকার ছোট হবে। ফলে কৃষকরা হবে ক্ষতিগ্রস্ত আশাতীত উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হবে। এমন ধারণা পোষণ করেছেন এলাকার চাষিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এবার

২২ অক্টোবর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ