বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো : মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে খুলনার ৬৮টি ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে দশ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এতে খুলনার বাজারের চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামাতে পারেনি। সব ধরণের চালের কেজি প্রতি মূল্য বেড়েছে দু’টাকা করে। আমনের মজুদ ফুরিয়ে আসায় চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। চালের বাজার মূল্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এপ্রিল পর্যন্ত সময় লাগবে। এপ্রিলের শেষ দিকে বাজারে বোরো চাল আসতে শুরু করবে।
খাদ্য বিভাগের সূত্র জানান, জেলায় ৮৩ হাজার ৯৪৪ পরিবারের মধ্যে দশ টাকা কেজি মূল্যে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। গত ৬ মার্চ ফুলতলা উপজেলায় জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান চাল বিক্রির উদ্বোধন করেন। হতদরিদ্র পরিবারগুলো ৩০ কেজি করে চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী মাস পর্যন্ত এ সুযোগ থাকবে। ১৭২জন ডিলার জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চাল বিক্রি করছেন। দু’জন ডিলারশীপ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দু’টি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম ও নয়টি উপজেলা পর্যায়ের গুদামে ৪ হাজার ১৬১ মেট্টিক টন চাল মজুদ রয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন জানান, মজুদ পরিস্থিতি সন্তোষজনক। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সপ্তাহে তিন দিন, মাসে ১২ বার চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।
খুলনার বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী গ্রামীণ ট্রেডার্সের মালিক মো. লতিফুর রহমান খান জানান, স্বর্ণা প্রতি কেজি ৩২ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, ইরি-১০ জাতের বালাম ৩২ টাকার পরিবর্তে ৩৪ টাকা, ইরি-২৮ (পুরোনো) ৪১ টাকার পরিবর্তে ৪৩ টাকা, মিনিকেট ৪৩ টাকার পরিবর্তে ৪৫ টাকা, নাজিরশাইল ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৪৭ টাকা, বাসমতি ৪৯ টাকার পরিবর্তে ৫১ টাকা ও ইরি আতপ ২৯ টাকার পরিবর্তে ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নতুন বাজার এলাকার খুদে ব্যবসায়ী আমীর হোসেন, শেখপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী নজরুল হাওলাদার জানান, স্বর্ণা প্রতি কেজি ৩৬ টাকা, বালাম ৩৭ টাকা, মিনিকেট ৪৭ টাকা, ইরি আতপ ৩৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এই সূত্রগুলো জানান, নওয়াপাড়া ও লবণ চরার রাইস মিলে আমনের মজুদ কমে যাওয়ায় চালের মূল্য বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।