প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চিত্রনায়িকা শাবনূর তার চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারের তিন দশক পূর্ণ করেছেন। চলচ্চিত্রে শাবনূরের যাত্রা শুরু হয়েছিলো এহতেশামের হাত ধরে ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমায় নায়িকা হওয়ার মধ্যদিয়ে। এই সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক সাব্বির। সিনেমাটি ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর মুক্তি পায়। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পায়নি। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের ২২ এপ্রিল মুক্তি পায় বাদল খন্দকার পরিচালিত ‘দুনিয়ার বাদশা’ সিনেমাটি। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন হুমায়ূন ফরীদি। শাবনূরের নায়ক ছিলেন আমিন খান। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে বেশ সফল হয়। এ সিনেমার মাধ্যমে আলোচনায় চলে আসেন শাবনূর। একই বছর ২২ মে মুক্তি পায় জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ সিনেমাটি। এতে সালমান শাহ’র সাথে শাবনূর প্রথম অভিনয় করেন। সিনেমাটি মুক্তির পর তরুণ দর্শক হৃদয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। একই সময়ে ‘শঙ্খনীল কারাগার’,‘ হত্যা’,‘ নতিজা’,‘ দুঃসাহস’ ও ‘বালিকা হলো বধূ’ মুক্তি পেলেও দর্শকের ভালোবাসায় আলোচনার শীর্ষে চলে আসে সালমান শাবনূরের ‘তুমি আমার’। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শাবনূরকে। একই বছরের ১২ আগস্ট মুক্তি পায় শালমান শাহ’র সাথে জুটি বেঁধে শাহ আলম কিরণ পরিচালিত ‘রঙ্গিন সুজন সখী’ ও ৯ সেপ্টেম্বর মহম্মদ হাননানের ‘বিক্ষোভ’ সিনেমা দু’টি। সিনেমা দুটি ব্যাপকভাবে সফল হয় এবং জুটি হিসেবে সালমান-শাবনূর তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৯৫ সালের ১১ মে মুক্তি পায় সালমান শাবনূরের আব্দুল খালেক পরিচালিত ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ সিনেমাটি। এটি এই জুটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এই জুটির ২২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় দীলিপ সোমের ‘মহামিলন’। ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় শাহ আলম কিরনের সালমান-শাবনূর জুটি’র ‘বিচার হবে’। ১৯৯৬ সালের ২১ জুন মতিন রহমানের ‘তোমাকে চাই’। এসব সিনেমা দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ৯৬ সালের ১২ জুলাই মুক্তি পায় বাদল খন্দকারের ‘স্বপ্নের পৃথিবী’। সালমান শাহ’র জীবদ্দশায় শাবনূরের সঙ্গে এই সিনেমাটিই ছিল সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা। সালমানের মৃত্যুর পর মান্না, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিল খান, অমিত হাসান, আমিন খানের সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাবনূর। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৫ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শাবনূরের সময়কালে শাবনূর অভিনয় দিয়ে নিজেকে এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তার সমসাময়িক নায়িকারা জনপ্রিয় হলেও অভিনয়ের দিক দিয়ে শাবনূর ছিলেন সেরা। বর্তমানে তিনি সিনেমা ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। শাবনূর বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে চলচ্চিত্রে এখনো যথেষ্ট সম্মান নিয়েই আছি। আমার অভিনয় জীবনের পথচলায় আমার প্রত্যেক চলচ্চিত্রের পরিচালক, প্রযোজক, সিনেমাটোগ্রাফার, কাহিনীকার, প্রোডাকশন বয়, ট্রলিম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার বোন ঝুমুরের কথা উল্লেখ করতে হয়। সবারই সহযোগিতায় আমি আজকের শাবনূর। সবাই আমার জন্য, আমার সন্তান ও পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।