নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী : ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলংকার অবস্থান যেখানে ৬, বাংলাদেশের সেখানে ৭। আইসিসি’র সর্বশেষ এই র্যাঙ্কিংটাই ওয়ানডে সিরিজের উত্তাপ দিয়েছে বাড়িয়ে। ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণে দু’দল যখন সমীকরণ মেলানোর পরীক্ষার মুখে, তখন ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিচ্ছে অন্য একঝাঁঝ।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে রেকর্ড আহামরি নয় বাংলাদেশের। ৩৮ ম্যাচে জয় মাত্র ৪টি। ৬টি ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে কেবল একটি ভাগাভাগি করে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ, অন্য ৫টির ৪টিতে হোয়াইট ওয়াশ বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজেও ব্যর্থতা ছিল সঙ্গী বাংলাদেশের। ২ বছর আগে মেলবোর্নে দু’দলের সর্বশেষ দেখায় ৯২ রানে হারের দুঃসহ স্মৃতিও আছে মাশরাফিদের।
তবে এক দিবসীয় ক্রিকেটে সাম্প্রতিক রেকর্ডে শ্রীলংকার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। শ্রীলংকা যেখানে সর্বশেষ ৫টি ওয়ানডে ম্যাচের সব ক’টিতে হেরেছে, সেখানে সমসংখ্যক ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ ১টিতে। শ্রীলংকার মাঠে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের অতীতও আছে বাংলাদেশের। সাদা পোশাক আর লাল বলে বাংলাদেশকে যতোটা না সমীহ করে বিশ্ব, তার চেয়ে রঙীন পোশাক আর সাদা বলের বাংলাদেশকে বেশি সমীহ করে। ওয়ানডে ফরমেটের ম্যাচে প্রতিদ্ব›দ্বী বাংলাদেশ, এই পরিচয়টাও বাংলাদেশকে করছে অনুপ্রাণিত। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে মাশরাফির এই বিশ্বাস বদ্ধমূলÑ ‘ওয়ানডেতে ভালো খেলি। জিতিও বেশি।’
তবে বিদেশের মাটিতে ওয়ানডে সাফল্যের হার সন্তুষ্ট করতে পারেনি মাশরাফিকে। সেই অসন্তুষ্টি এবার লাঘব করতে চান বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কÑ ‘ওয়ানডে ম্যাচে বেশিরভাগ জয়ই কিন্তু পেয়েছি আমরা দেশের মাটিতে। কয়েক মাস আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সবগুলোই হেরেছি। সম্ভাবনা জাগিয়েছি, জেতার পরিস্থিতিও তৈরি করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। এবার আবার বিদেশের মাটিতে খেলা। আমার মনে হয় এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দরকার মাঠের পারফরম্যান্স।’
টেস্টের মতো বাংলাদেশের সামনে এতোদিন বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন সাঙ্গাকারা, মাহেলা, দিলশান, মুরালীধরন, ম্যাথুউজ, মালিঙ্গা। শ্রীলংকার এই লিজেন্ডারীদের কাউকে এই ওয়ানডে সিরিজে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে না বাংলাদেশ, তাতেই একটু বেশি ফুরফুরে থাকার কথা বাংলাদেশ দলের। তবে রঙীন পোশাক এবং সাদা বলের শ্রীলংকা দলকে যথেষ্ট সমীহ করছেন মাশরাফি। যথেষ্ট সতর্ক হয়েই খেলতে চান ওয়ানডে সিরিজÑ ‘শ্রীলঙ্কাকে আমি পিছিয়ে রাখতে চাই না। কারণ আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কার বর্তমান ওয়ানডে ও টি-২০ দল টেস্টের চেয়ে ভালো। তাই এই সিরিজে দুই দলকে সমান সমান মনে করছি। আমাদেরকে খুব সতর্ক হয়ে খেলতে হবে।’ শ্রীলংকা দলের বোলারদের একটু বেশি সমীহ করছেন মাশরাফিÑ ‘আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ দৃঢ়। তবে ওয়ানডেতে জিততে চাইলে তিন বিভাগেই ভালো খেলতে হবে। শুধু ব্যাটিং নয়, তিন বিভাগেই লঙ্কানদের বিপক্ষে ভালো খেলতে হবে। ওদের দলে কিন্তু বেশ কয়েকজন বোলারও আছে। সব দিকেই তাই নজর রাখতে হবে।’
ডাম্বুলার অতীত ভাল নয় বাংলাদেশের। তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে অতীতে বড় ব্যবধানে। ২০১০ সালের এশিয়া কাপে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হার মানেন টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার কাছে ১২৬, পাকিস্তানের কাছে ১৩৯ রানে আর ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে পি সারা ওভালে অতীতে তিন টেস্টের সব ক’টিতে স্বাগতিক দলের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরে যাওয়া দুঃসহ স্মৃতির ভেন্যুকে যেভাবে সুখস্মৃতির ভেন্যুতে দিয়েছে রূপ বাংলাদেশ শততম টেস্টে, তাতেই ডাম্বুলার অতীত মুছে নুতন ইতিহাস রচনার প্রেরণা পাচ্ছেন মাশরাফিÑ ‘অবশ্যই অনুপ্রাণিত থাকা উচিত। এমন সাফল্যের পর মনোবল বাড়ারই কথা। কেউ কেউ হয়তো আমাদেরকে এগিয়ে রাখতে চাইবেন। আমার কথা হলো এগিয়ে থাকলেও মাঠে সেরাটাই খেলতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি ওয়ানডেতে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলি। এর মধ্যে প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে টেস্ট ম্যাচ জয়। ওয়ানডেতে আমরা দারুণভাবে শুরু করব সেই বিশ্বাস আমাদের কাছে।’
এদিকে বাংলাদেশের কাছে পি সারা ওভালে টেস্ট হেরে বিমর্ষ শ্রীলংকা নতুন উদ্দীপনায় ওয়ানডে সিরিজ খেলার ঘোষণা দিয়েছে। ফিল্ডিংয়ে চেনা শ্রীলংকাকে যাবে দেখা, তাতেই নতুন কিছুর স্বপ্ন দেখছেন ওয়ানডে অধিনায়ক উপল থেরাঙ্গাÑ ‘টেস্ট সিরিজের পর আমরা ৪টি ট্রেনিং সেশন করেছি। প্রতিটি সেশনেই ফিল্ডিংয়ে অনেক সময় ব্যয় করেছি। অনুশীলন ঠিক ঠাক মতো হয়েছে। আশা করছি মাঠে আমরা এই বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারব। এটি ভিন্ন বলের ভিন্ন ফরমেটের খেলা। আশা করছি কঠিনভাবে ফিরে আসতে পারব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।