পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ জনতার দল জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলে কোনো গডফাদার দরকার নেই তাদের। আরও শক্তিশালী ও আরও কার্যকর দল নিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জিততে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দলে ভুঁইফোড় সংগঠনের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে ‘কাউয়া’ (কাক) ঢুকছে। আগামী নির্বাচনের আগে দলকে আরও সুশৃঙ্খল, আরও আধুনিক করার কাজে অংশ নিতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের তাগিদ দেন।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ বিভাগীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ, হাইব্রিড লীগ আছে। কথা হাছা, সংগঠনে কাউয়া ঢুকছে। জায়গায় জায়গায় কাউয়া আছে। পেশাহীন পেশিজীবী দরকার নেই। ঘরের ভেতর ঘর বানানো চলবে না। মশারির ভেতর মশারি টানানো চলবে না।
ক্ষমতাসীন দলের বেশ কিছু নেতার অপকর্মের কারণে দল ও সরকারকে গত কয়েক বছর ধরেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কারও নাম উল্লেখ না করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গডফাদার পেশাহীন পেশাজীবীরা তাদের পেশিশক্তি দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে দলকে বিব্রত করছে। আওয়ামী লীগে তাদের দরকার নেই। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে গড়ে তোলা বিভিন্ন সংগঠনের অপতৎপরতা নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব সংগঠন তার নামের পাশে আওয়ামী লীগের অনুকরণে ‘লীগ’ ব্যবহার করে। এতে সংগঠনগুলো ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবেই মনে করে অন্যরা। আর তাদের নানা কর্মকান্ডের দায়ও এসে পরে সরকারি দলের ওপর। এগুলো রাজনৈতিক দোকান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
কাদের বলেন, অনেকেই বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে দোকান খুলে বসে আছে। আসার পথে দেখলাম ডিজিটাল লীগ নামে ব্যানার। তিনি বলেন, এই লীগ, সেই লীগ-কত যে লীগ গঠন করছে সুবিধাভোগীরা! প্রজন্ম লীগ, ওলামা লীগ, তরুণ লীগ- কত লীগ! এখন শুনছি হাইব্রিড লীগও গঠন করা হয়েছে। এসব অপকর্ম আর চলবে না। রাজনৈতিক দোকানের সঙ্গে জড়িতদেরকে ধরে পুলিশের দেয়ার আহŸানও জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত না হওয়ার আহŸান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হবেন না। বিএনপির আমি নাম দিয়েছি বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। বি-তে বাংলাদেশ, এন-এতে নালিশ, পি-তে পার্টি। আন্দোলন করবে তারা রোজা ঈদের পরে। এরপর কোরবানি ঈদের পরে। পরে পরীক্ষার পর। এরপর বছর যায়, আন্দোলন হয় না। মরা গাঙে আর ঢেউ আসবে না। মাস যায়, বছর যায়, বিএনপির আন্দোলন আর কোন বছর হবে? এই বছর না সেই বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর ?
সিলেটের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সিলেটসহ সারা দেশে প্রতিটি স্থানেই প্রকাশ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কমিটি দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে যেসব পদে জমিদারের মতো দখল হয়ে আছে, সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। এটা নিয়ে টালবাহানা চলবে না।
জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র দেড় বছর বাকি আছে। নেতাকর্মীদের কথা কম বলে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে আরও সুশৃঙ্খল, আরও আধুনিক হতে হবে। শেখ হাসিনাকে জয় উপহার দিতে হবে।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য। সিরাজের এ ঘোষণায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা ব্যানার উচিয়ে সমর্থন জানান। মিসবাহউদ্দিন সিরাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তিনবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করেছেন। আমি আশা করছি, এবার আমাকে সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে।
এ সময় সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও তার ছোট ভাই জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন। পরে অর্থমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
সিলেট বিভাগের চার জেলার ১০ হাজার তৃণমূল প্রতিনিধিকে নিয়ে সিলেট নগরের আলিয়া মাদরাসা মাঠে এ সমাবেশ হয়। সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনসহ চার জেলার তৃণমূলের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।