নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, কলম্বো (শ্রীলঙ্কা) থেকে : প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১২৯ রানের লিড দেখেও ভড়কে যায়নি শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ ইনিংসের চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশকে ফেলে ম্যাচ জয়ের ছক আঁকছে তারা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সে হুঙ্কারই দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার চায়নাম্যান বোলার সান্দকান ‘চতুর্থ দিনে আমাদের ভালো ব্যাট করতে হবে। অবশিষ্ট দুইদিনে আমাদেরকে কিছু একটা করতে হবে। উইকেট এখন স্লো হয়ে পড়েছে। বলের সাইন কেটে গেলে তখন উইকেটে ব্যাটসম্যানদের করণীয় কিছুই থাকছে না। রঙ্গনা এবং পেরেরা দারুণ বল করে তাদেরকে চাপে ফেলে দিতে চেষ্টা করেছে। লাকমালও পিচের সহায়তা নিয়ে দারুণ বল করেছে। আশা করছি, এখানে স্পিনারদের জন্য ভালো সুযোগ আছে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা টার্ন আদায় করে ম্যাচ আমাদের পক্ষে নিয়ে আসবে।’
তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের বড় লিডে সাকিব, মোসাদ্দেকের ব্যাটিংয়ের ভ‚য়সী প্রশংসা করেছেন সান্দকান ‘তারা দুইজন আসলেই দারুণ ব্যাটিং করেছে। উইকেট সেøা হয়ে পড়েছে। তারপরও তারা দারুণ ব্যাট করেছে। সাকিব এবং ডেব্যুটেন্টে (মোসাদ্দেক) তারা বড় পুঁজি পেয়েছে। আমরা আজ (গতকাল) তাদের শটস খেলা থামিয়ে ভুলের ফাঁদে ফেলতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু পিচের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হচ্ছে না দেখে আমরা আমাদের বেসিক অনুযায়ী বল করেছি।’ বাংলাদেশের শততম টেস্টে অভিষিক্ত মোসাদ্দেকের ব্যাটিং দেশে মোটেও বিস্মিত হননি তিনি ‘সে একজন ব্যাটসম্যানের মতোই খেলেছে। যেহেতু দেশে তার দারুণ রেকর্ড আছে, গড় ৭০-এর মতো, তাই তার ব্যাটিংটা দারুণ হয়েছে।’
শততম টেস্টের প্রথম ৩ দিনে যা কিছু কীর্তি বাংলাদেশের
* পি. সারা ওভালে প্রথম ইনিংসে ১২৯ রানের লিডই টেস্টে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লিড। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৩ সালে হারারে টেস্টে ১০৯ ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ লিড। এ নিয়ে বিদেশের মাটিতে ১০০ এর বেশি লিড পেল তিনবার। প্রথমটি ছিল ২০০৩ সালে মুলতানে ১০৬ রানের।
* বিদেশের মাটিতে প্রথম ইনিংসে এটা বাংলাদেশের ষষ্ঠ বারের মতো লিড। এই ছয়টি টেস্টের মধ্যে কেবল একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ (২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে)।
* এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে ৫০০ রানে পঞ্চম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান সাকিব। এই বছরে দু’টি সেঞ্চুরি, দু’টি ফিফটিতে তার গড় ৮২.১৬। সাত রানের জন্য এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি মুশফিক।
* প্রথম ইনিংসে শেষ পাঁচ উইকেটে ২৬৯ রান বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে শেষ পাঁচ উইকেটে ২৮৯ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ।
* সপ্তম উইকেট জুটিতে সাকিব-মোসাদ্দেকের ১৩১ রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড। তবে ২০১০ সালে হ্যামিল্টন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাহামুদুল্লাহ-সাকিবের ১৪৫ রানের জুটি বিদেশের মাটিতে এই পার্টনারশিপে সর্বোচ্চ।
* এক বছরে বিদেশের মাটিতে প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় বার ৪০০ প্লাস স্কোরের রেকর্ড এটি (৪৬৭)। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে ৫৯৫/৮ ডি. এর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পি সারা ওভালে ৪৬৭। শ্রীলঙ্কার মাটিতেও স্বাগতিকদের বিপক্ষে এমন কৃতিত্বে এটা দ্বিতীয়। ২০১৩ সালে গল টেস্টে ৬৩৮ ছিল প্রথমটি।
* শ্রীলঙ্কার টেস্ট অভিষেকে মোসাদ্দেকের ফিফটি বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে নবম। শ্রীলঙ্কা সফরে এটি দ্বিতীয়। এর আগে ২০১৩ সালে গল টেস্টে নিজের অভিষেকে ফিফটি করেছিলেন মুমিনুল।
* দেশের শততম টেস্টে সেঞ্চুরির রেকর্ডে সাকিব অষ্টম। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ারেন বার্ডসলি ও চার্লস কেলওয়ে, নিউজিল্যান্ডের বেভান কংডন ও ব্রায়ান হেস্টিংস, দক্ষিণ আফ্রিকার বিলি ওয়েড পাকিস্তানের মাজিদ খান এবং জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমারের পর সাকিব করলেন দলের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি।
* শততম টেস্টে মোসাদ্দেক তার অভিষেক টেস্টে বিরল রেকর্ড গড়েছেন। শততম টেস্টে অভিষেকে হাফ সেঞ্চুরি আছে কেবল একজনেরই। ১৯০৯ সালে ইংল্যান্ডের শততম টেস্টে অভিষিক্ত জ্যাক শার্প দেখা পেয়েছিলেন ফিফটি (৬১)।
* বাংলাদেশের ৮৬তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ মাথায় ওঠা মোসাদ্দেকের বাংলাদেশের ১৩তম অভিষিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন । সেঞ্চুরি মিস করা জাভেদ ওমর, তামিম ইকবাল ও নাজিমউদ্দিনের পরই তার অবস্থান। অন্য দিকে, অভিষেকে তিন সেঞ্চুরি পাওয়া ব্যাটসম্যান হচ্ছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ আশরাফুল ও আবুল হাসান রাজু।
* শততম টেস্টে অভিষেক হওয়ার নজির আছে আরো সাতটি। অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে গত বুধবার মোসাদ্দেক নাম লিখিয়েছিলেন এই তালিকাতে। এ তালিকায় সর্বশেষ নাম জিম্বাবুয়ের কার্ল মুম্বার।
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন সেরা অলরাউন্ডার সাকিব।
* টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিন্ম স্কোর (৬২) যে ভেন্যুর (২০০৭ সালে) ও সর্বনিন্ম। সেই পি সারা ওভালে এবার বিদেশি যে কোনো দলের স্কোরে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বিদেশি দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ৫১৫/৭ নিউজিল্যান্ডের। ২০০৩ সালের সেই রেকর্ডটি এখনো অক্ষত। আগের সর্বোচচ ২৯৯ (২০০৭ সালে) টপকে বাংলাদেশ করেছে ৪৬৭।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।