নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপে ভারতের সামনে পড়লেই কী যেন হয়ে যায় পাকিস্তানের! ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি, বৈশ্বিক আসরে কখনোই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাতে পারেনি তারা। আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বদলাবে অতীত ইতিহাস? পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম অবশ্য দারুণ আত্মবিশ্বাসী। বললেন, ভারতকে হারিয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে চান তারা।
এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন বাবর, অধিনায়ক হিসেবেও তাই প্রথম। এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানকে ২৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছেন ১৫টি। অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে যেতে পেরে গর্ব অনুভব করছেন তিনি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান বললেন, জয় দিয়ে শুরু করতে চান অভিযান, ‘প্রতিটা ম্যাচের চাপ ও তীব্রতা সম্পর্কে আমরা জানি, বিশেষ করে প্রথম ম্যাচ। আশা করি, আমরা ম্যাচটি জিততে পারব এবং ওই মোমেন্টাম সামনে ধরে রাখতে পারব।’
আগামী ২৪ অক্টোবর দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ অভিযান। ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই দলের ৭ বারের লড়াইয়ে ভারত জিতেছে প্রতিটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ লড়াইয়ে ভারতের সরাসরি জয় ৪টিতে। আরেকটি হয়েছিল টাই। তবে ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই টাই ম্যাচেও পরে টাইব্রেকারে হেরে যায় পাকিস্তান। বাবর অবশ্য অতীত নিয়ে ভাবছেন না, ‘কোনো টুর্নামেন্টের আগে একটি দল হিসেবে নিজেদের ওপর বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দল হিসেবে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচুতে। আমরা অতীত নিয়ে নয়, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছি। আমরা সেটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত এবং ভালো ক্রিকেট খেলব।’
গত কয়েক বছর ধরেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়মিত ক্রিকেট খেলছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। কন্ডিশন সম্পর্কে তাদের জানা আছে ভালোভাবেই। যে মাঠে তারা ভারতের বিপক্ষে খেলবে, সেই দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে ২০১৬ সাল থেকে ছয়টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে পাকিস্তান কখনও হারেনি। এসবই ভারতের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে বাবরকে, ‘গত তিন-চার বছর ধরে আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্রিকেট খেলছি এবং এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ভালোভাবে জানি। আমরা জানি, উইকেট কেমন আচরণ করবে এবং ব্যাটসম্যানদের কীভাবে মানিয়ে নিতে হবে। নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে তারাই জিতবে। আমার কাছে যদি জানতে চান, বলব আমরাই জিতব।’
পাকিস্তানের ১৫ জনের বিশ্বকাপ দলে মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিকের মতো অভিজ্ঞদের পাশাপাশি আছে তরুণ সব ক্রিকেটার। সিনিয়রদের অভিজ্ঞতা তরুণদের জন্য কাজে লাগবে বলে মনে করেন পাকিস্তান অধিনায়ক, ‘সব খেলোয়াড়ই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করে দলে এসেছে। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে, কারণ তাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে, তারা এর আগে বিশ্বকাপ খেলেছে। আমাদের দলে সাত-আট জন খেলোয়াড় আছে যারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও খেলেছে।’
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতকে গুঁড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। এবার কি তেমন কিছুই দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।