নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : আভাসটা পাওয়া গিয়েছিল আগের দিনই। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হল। ডানেডিন টেস্টের শেষ দিনটা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বেরসিক বৃষ্টি। ফলে ঝিমেয়া ঝিমিয়ে চলতে থাকা ম্যাচ হঠাৎ রোমাঞ্চ নিয়ে হাজির হলেও পরিসমাপ্তিটা দেখা হল না। স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার পর দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। অঘোষিতভাবে তাই ড্র হয় ম্যাচটি।
ইউনিভার্সিটি ওভালের এই মাঠে শেষবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। সেই ম্যাচেরও রোমাঞ্চকর শেষ দিনটা গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। শেষ দিনে সেদিন নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২৬৪ রান, আর দক্ষিণ আফ্রিকার ৮ উইকেট। জয়ের সম্ভবনা ছিল দু’দলেরই। এবারো সেই একই রকম পরিস্থিতি। মন্থর পিচে হাতের চার উইকেট ব্যবহার করে ১৯১ রানের লিডটা নিশ্চয় খানিকটা বাড়িয়ে নিতে পারত প্রটিয়ারা। ভরসা হিসেবে ব্যাটে ছিলেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি, ৫৬ রানে। বিপরীতক্রমে কিউই বোলাররা তাদের দ্রæত ফেরাতে পারলে জমজমাট একটা ম্যাচই দেখা যেত। এমন পিচে দুইশোর্ধো রান তাড়া করে জেতা যেমন কঠিন তেমনি তা অসম্ভব ছিল না। তিন ম্যাচ সিরিজের লড়াইটা তাই শুরু হল এক ধরণের অপূর্ণতার মধ্য দিয়ে।
অবশ্য ১৬ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়েলিংটন টেস্টের জন্য পেস ও স্পিন সব ধরনের বোলাররাই উৎসাহ পেয়েছেন ডানেডিন থেকে। একটু সাবধানী ব্যাটিং করলে যে ভালো কিছু করা সম্ভব তার প্রমাণও মিলেছে ডেন এলগার ও কেন উইলিয়ামসনের শতকে। প্রথম ইনিংসে ১৪০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৯ বলে লড়াকু ৮৯ রানের কল্যানে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও তো গেছে ব্যাটসম্যান এলগারের দখলে। দুই ইনিংস মিলে ২৯ বছর বয়সী বাঁহাতি খেলেন ৫৪৮ বল, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যা ম্যাচে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ বল মোকাবেলা করার রেকর্ড।
কেন উইলয়ামসনের দলে অঘোষিতভাবেই ওয়েলিংটন টেস্টে দুটি পরিবর্তন অবধারিত, দু’জনই দলের অপরিহার্য খেলোয়াড়। কুঁচকির চোট নিয়ে তৃতীয় দিনেই মাঠ ছেড়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। তাকে না পাওয়াটা এক প্রকার নিশ্চিত। তারও আগের দিন গোড়ালির চোটে ব্যাটিং থেকে উঠে যাওয়া রস টেলরকেও পাওয়া যাবে না। তার পরিবর্তে অভিষেক হয়ে যেতে পারে নেইল ব্রæমের।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩০৮ (এলগার ১৪০, বাভুমা ৬৪, ডু প্লেসি ৫২; বোল্ট ৪/৬৪, ওয়াগনার ৩/৮৮) ও ২২৪/৬ (এলগার ৮৯, ডু প্লেসি ৫৬*; ওয়াগনার ২/৫৭, প্যাটেল ২/৭২)। নিউজিল্যান্ড : ৩৪১ (উইলিয়ামসন ১৩০, রাভাল ৫২, ওয়াটলিং ৫০; মহারাজ ৫/৯৪; মর্কেল ২/৬২, ফিল্যান্ডার ২/৬৭)।
ফল : ম্যাচ ড্র। সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজ ০-০ ড্র। ম্যাচ সেরা : ডেন এলগার (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।