বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমার জীবনের সব থেকে বড় দুঃখ আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। তবে আমি চেষ্টা করেছি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করার জন্য।
গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এরশাদ একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় সভাপতিত্ব করেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ বলেছেন, আমার জীবনের বড় দুঃখ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস পালন করে যেতে পারিনি, বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা করে যেতে পারিনি। এটাও আমার বড় দুঃখ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে আমাকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে বদলি করা হলো। এরপর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। আমি মুক্তিযুদ্ধ করতে পারিনি। আমার জীবনের বড় দুঃখ, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। কিন্তু, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক বড় বড় কাজ করেছিলাম। মুক্তিযোদ্ধারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করেছিলাম। তিনি বলেন, খবরের আগে সবকাটা জানালা খুলে দাও না আমি চালু করেছিলাম। আমি ৬৪ জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ কাঠা করে জমি দিয়েছিলাম। বাস ট্রেনে বিনা খরচে ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছিলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের মাজিস্ট্রেট বানিয়েছিলাম। আমার একটি বিষয় করা হয়নি সেটি হলো ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস পালন করতে পারিনি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ২৫ মার্চ কালো রাত্রির মাস, গণহত্যার মাস। রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল সেদিন। আমার বিশ্বাস এই সংসদে তা পাস হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর স্বীকৃতি লাভ হবে। ২৫ মার্চ গণহত্যার মধ্যেমে বাঙালিকে মুছে দিতে চেয়েছিল, তাই এটা গণহত্যা। বঙ্গবন্ধু মহানয়ক তাকে ২৫ মার্চ রাতে গেপ্তার করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্বীকার করে এরশাদ বলেন, তিনি আমাদের জাতির পিতা। তার জন্ম না হলে আমি সেনা প্রধান হতে পারতাম না। রাষ্ট্রপতিও হতে পারতাম না। সংসদে কথাও বলতে পারতাম না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।