Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গাবতলীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের মামলায় ৭ জন রিমান্ডে

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় সাত শ্রমিককে একদিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমাতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আলগমীর কবির এ আদেশ দেন। রিমান্ডকৃত আসামিরা হলেন রফিকুল ইসলাম, হাসানুর, রবিন, সোহেল, ফজলে রাব্বী, আল আমিন ও এনামুল হক। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেক আসামিকে এক দিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমাতি দেন। এর আগে বুধবার রাতে মামলাটি করে দারুস সালাম থানা পুলিশ।
রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, ধর্মঘটের নামে মঙ্গল ও বুধবার গাবতলী এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা তান্ডব চালিয়েছে এ আসামিরাসহ আরো অনেক আসামি। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। দুইটি মামলা করেছে পুলিশ। আর একটি মামলা করেছেন একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। আসামিদের মধ্যে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক নেতাও রয়েছেন। সব মিলে আসামি এক হাজারের বেশি।’
পুলিশ সূত্র জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মৃত্যুর জন্য দায়ী বাসচালককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে গত সপ্তাহে মানিকগঞ্জের আদালতে রায়ের পর থেকে চুয়াডাঙ্গায় ধর্মঘট শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এরপর সাভারে এক নারীর ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাক তুলে দিয়ে হত্যা করার অপরাধে আরেক চালকের মৃত্যুদন্ডের সাজার পর মঙ্গলবার দেশজুড়ে যান চালানো বন্ধ কওে দেন পরিবহন শ্রমিক-মালিকরা। পরে রাত থেকে ধর্মঘট শ্রমিকরা গাবতলীতে ব্যাপক ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। আগুন ধরিয়ে দেন একটি পুলিশ বক্স ও রেকারে। এক পুলিশ সার্জেন্টকে মারধর করে তার মোটরসাইকেলটিও পুড়িয়ে দেন। এছাড়া সংঘর্ষে মারা যান এক শ্রমিক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাবতলী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ