পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেট্রোরেল নির্মাণের কারনে সাময়িকভাবে স্থানান্তর করা হচ্ছে গাবতলী বাস টার্মিনাল। এ জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ উৎপাদন খামারের সাত হেক্টর জমি প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। মেট্রোরেল লাইন (এমআরটি) ৫-এর ভূগর্ভস্থ স্টেশন নির্মাণ কাজ শেষ হলে আবার আগের জায়গায় গাবতলী টার্মিনাল ফিরে আসবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি) প্রস্তাবিত মাস রাপিড ট্রানজিট (মেট্রোরেল) বা এমআরটি লাইন-৫-এর জন্য গাবতলী বাস টার্মিনালের উত্তরাংশে ভূগর্ভস্থ স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মিত হবে ওপেন কাট পদ্ধতিতে। পরবর্তীতে টার্মিনালের দক্ষিণাংশেও ভূগর্ভস্থ স্টেশনের সংস্থান রাখতে হবে। বলিয়ারপুর-আমিনবাজার থেকে গাবতলী হয়ে মিরপুর ১০ পর্যন্ত যাবে এমআরটি লাইন-৫। সেখান থেকে বনানী-গুলশান হয়ে ভাটারা পর্যন্ত যাবে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার ও নতুনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত লাইনটি যাবে উড়ালপথে (এলিভেটেড)। মাঝে আমিনবাজার থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত যাবে আন্ডারগ্রাউন্ডে। সব মিলে লাইনটির দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এমআরটি লাইন-৫-এর বিস্তারিত সমীক্ষা সম্পর্কিত চূড়ান্ত খসড়া প্রতিবেদনে গাবতলীতে ভূগর্ভস্থ স্টেশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্টেশনটি পড়েছে টার্মিনালের উত্তরাংশে। গাবতলী দিয়ে এমআরটি-৫ ছাড়াও আরেকটি লাইন যাবে। আশুলিয়া-সাভার-গাবতলী থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনটি এমআরটি-২ নামে পরিচিত হবে। এটির আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন হবে গাবতলী বাস টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে। এজন্য দক্ষিণ পাশেও পরবর্তীতে ভুগর্ভস্থ স্টেশনটি স¤প্রসারণের সংস্থান রাখতে হবে।
মেট্রোরেলের ভূগর্ভস্থ স্টেশন নির্মাণের সুবিধার্থে গাবতলী টার্মিনালটি সাময়িকভাবে সরিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। শুরুতে টার্মিনালসংলগ্ন সিটি পল্লী বস্তি ও আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনালে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল। তবে মেট্রোরেল লাইন-৫-এর জন্য গঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের স্থান নির্বাচনী কমিটির সর্বশেষ সভায় সিটি পল্লী বস্তি ও আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনালের পরিবর্তে বিএডিসির বীজ উৎপাদন খামারের (উত্তর পাশে) সাত হেক্টর জমি প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে টার্মিনালটি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ভূগর্ভস্থ স্টেশনটি নির্মাণকালীন ছয় মাস থেকে এক বছরের জন্য বাস টার্মিনালটি সরিয়ে নেয়া হবে।
মেট্রোরেলের একজন কর্মকর্তা জানান, গাবতলী টার্মিনালের বিকল্প হিসেবে আশপাশের ৫০০ মিটারের মধ্যে উপযুক্ত জায়গা খোঁজা হচ্ছিল। বিএডিসির বীজ উৎপাদন খামারের অব্যবহৃত জমির অবস্থান টার্মিনালের ৫০০ মিটারের মধ্যেই। ডিটিসিএর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকে বিএডিসির সাত হেক্টর জমি প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। ভূগর্ভস্থ স্টেশন নির্মাণকালে বিএডিসির কাছ থেকে উল্লিখিত জমি ভাড়া নেয়া হবে। এজন্য বিএডিসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান। তাদের সম্মতি মিললেই সাময়িক স্থানান্তরের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত জমি চূড়ান্ত করা হবে।
রাজধানীর অন্যতম বড় বাস টার্মিনাল গাবতলী। এখান থেকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার দুরপাল্লার বাস চলাচল করে। সাড়ে পাঁচ একরের এ টার্মিনালের উত্তরাংশে মেট্রোরেলের জন্য ভূগর্ভস্থ স্টেশন নির্মাণের সময় ব্যস্ততম টার্মিনালটি থেকে বাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। এজন্যও সাময়িকভাবে ৬ মাস থেকে এক বছরের জন্য টার্মিনালটি স্থানান্তর করা হবে।
এ প্রসঙ্গে গাবতলীকেন্দ্রীক বাস মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, সাময়িকভাবে ৬ মাস বা এক বছর বলা হলেও আমাদের ধারণা সময় আরও বেশি লাগবে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়বে। বেশিরভাগ নামীদামী বাসই তো টার্মিনালের বাইরে রাস্তার উপর থেকে ছাড়ে, তবে কেনো দুর্ভোগ বাড়বে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশিরভাগ কই, হাতে গোনা কিছু বাস টার্মিনালের বাইরে থেকে চলাচল করে। তবে সবগুলো বাসেরই কাউন্টার আছে টার্মিনালের ভেতরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।