Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জমি উদ্ধারে বাধা নেই

প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গাবতলীর গরুরহাট সংলগ্ন ইট, পাথর, বালুর আড়ৎ হিসেবে ব্যবহৃত তিনশ প্লটভুক্ত ৫২ দশমিক ৩৬ একর জমির দেয়া স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার ও এ সংক্রান্ত রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোরবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে ওই জমি উদ্ধারে আইনগত সব বাধা কেটেছে বলে জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আইনজীবী। আদালতে ডিএনসিসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শাহজাহান। পরে তিনি জানান, প্রায় এক যুগ আগে থেকে কিছু ব্যক্তি গাবতলী ইট, পাথর, বালু আড়ৎ বহুমুখি সমবায় সমিতির নামে ওই জমি অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। ২০০৮ সালে হাইকোর্ট এই জমির ওপর উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন। ওই রুল খারিজ করে আদালত স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে ডিএনসিসির জন্য এই জমি উদ্ধারে আর কোনো বাধা রইল না।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে গাবতলীর গরুরহাটের নিকটে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ৩০০ প্লট ইট-বালুর আড়ৎ হিসেবে বরাদ্দের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করে। সেই অনুযায়ী কিছু ব্যক্তি দরপত্র জমা দেয়। দখলে থাকা অবস্থায়ই ২০০৮ সালে গাবতলী ব্যবসায়ী বহুমুখি সমবায় সমিতির সেক্রেটারি নাসিরুল্লাহ ১৭৭ জন ব্যক্তির পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। তারা সিটি করপোরেশনের কাছে লিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাবি করেন এবং স্থিতাবস্থার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জমির উপর উভয়পক্ষকে তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। শেষ পর্যন্ত আদালত এই মামলার শুনানি শেষে রুল খারিজ করে স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করে রায় দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জমি উদ্ধারে বাধা নেই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ