বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়া অফিস : বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ড ধুনট আসনের নির্বাচিত সাধারণ সদস্য আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এএফএম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি ও নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম মাসুদ রানা বাদী হয়ে বগুড়ার জেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও ১ম যুগ্ম জজ আদালতে নির্বাচিত ওই সাধারণ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আগামী ২ এপ্রিল ওই মামলার শুনানি কার্য শুরু করতে সম্প্রতি পরাজিত প্রার্থীদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ড ধুনট আসনে সাধারণ সদস্য পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছিলেন মাত্র ৩ ভোট। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক (ক্রিকেট ব্যাট) ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। পরাজিত অপর বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ রানা (উটপাখি) পান ৪৬ ভোট। এদিকে নির্বাচিত প্রার্থী ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি ও নির্বাচনী হলফনামায় সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার ৬টি ফৌজদারী মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগ করেন পরাজিত প্রার্থী এসএম মাসুদ রানা। গত ৪ জানুয়ারী মাসুদ রানা এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর গত ৮ ফেব্রæয়ারি এসএম মাসুদ রানা বাদী হয়ে বগুড়ার জেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও ১ম যুগ্ম জজ আদালতে নির্বাচিত সাধারণ সদস্য ফজলুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আগামী ২ এপ্রিল ওই মামলার শুানানি কার্য শুরু করতে সম্প্রতি পরাজিত প্রার্থীদের নোটিশ প্রদান করেছে আদালত।
পরাজিত প্রার্থী এসএম মাসুদ রানা বলেন, নির্বাচন তফসিল অনুযায়ি প্রার্থী বর্তমানে কোন ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত আছে কিনা এবং অতীতে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন মামলা রেকর্ড আছে কিনা তা হলফনামায় উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু ফজলুল হক দাখিলকৃত মনোনয়পত্রের হলফনামায় সকল তথ্য গোপন রেখে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নেয় এবং ভোট কারচুপি করে সদস্য নির্বাচিত হয়। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আদালতের নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে অপর পরাজিত প্রার্থী মুঞ্জিল হোসেন বলেন, আগামী ২ এপ্রিল মামলার শুনানি কার্য শুরু হবে। এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ তার কাছে পৌঁছেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।