বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লালমোহন উপজেলা সংবাদদাতা : ভোলার লালমোহনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে চরফ্যাশনের এক ব্যবসায়ী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোহাম্মদ আলী নামে ওই ব্যবসায়ীকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই আব্দুল হাইয়ের অপসারণ দাবিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী আলআমীন বাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী লালমোহন থানার এসআই আবদুল হাই এর নির্মম ও বর্বর নির্যাতনের শিকার হন। বোনের বিরুদ্ধে মামলা করায় বোনের কাউন্টার মামলায় আসামি মোহাম্মদ আলীকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজ বাড়িতে গ্রেফতার করতে যায় লালমোহন থানার এসআই আব্দুল হাই। এ সময় তার সাথে থাকা ৪-৫ জন অপরিচিত লোকসহ মোহাম্মদ আলীকে তার বসতঘর থেকে বের করে বাজারের শত শত লোকের সামনে বেদম মারধরের এক পর্যায়ে বিবস্ত্র করেও নির্যাতন করে। বাজারের লোকজন তখন এগিয়ে এলে দারোগা আবদুল হাই তাদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
বাজারের ব্যবসায়ী বাহাদুর, ফসিউল আলম, স্থানীয় বর্তমান মেম্বার মো: আনিছল হক ও সাবেক মেম্বার আবদুর রহমান মানিক জাানান, লালমোহন থানার এসআই আবদুল হাই মোহাম্মদ আলীকে বাজারের শত শত লোকের সামনে বেদম মারধর ও এক পর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করেও নির্যাতন করে। পরে তাকে রিকশায় টেনেহিচড়ে তুলে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের লালমোহন থানায় নেয়া পর্যন্ত তাকে মারধর করতে থাকে। রিকশাচালক সালাউদ্দিন জানায়, দারোগা তাকে রিকশার পাদানিতে ওঠায়ে বুকে পা দিয়ে আঘাত করে এবং পথের মধ্যে নামিয়েও মারধর করে। মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী শামিমা নাসরিন জানান, ১৮ তারিখ রাতে লালমোহন থানার এসআই আবদুল হাই ঘরে প্রবেশ করেই মোহাম্মদ আলীকে মারধর শুরু করে আর দারোগার সাথের লোকজন শোকেচের দেরাজ খুলে টাকা পয়সা নিয়ে যায়। ১৯ তারিখে পুলিশ মোহাম্মদ আলীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় আদালত তার শরীরে জখম ও নির্যাতনের চিহ্ন দেখে চিকিৎসার জন্য জামিন দেয়। বর্তমানে সে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।