Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কিপিং ছাড়তে মন চাইছে না মুশফিকের

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : সাবেক উইকেট কিপার খালেদ মাসুদ পাইলটকে ছাড়িয়ে গেছেন ইতোমধ্যে। টেস্টে যেখানে খালেদ মাসুদ পাইলটের ডিসমিসালের সংখ্যা ৪৪ ম্যাচে ৮৭ টি, সেখানে ৫২ টেস্টে ৯৫টি ডিসমিসাল মুশফিকুরের রহিমের। প্রথম বাংলাদেশী উইকেট কিপার হিসেবে টেস্টে ডিসমিসালের সেঞ্চুরির হাতছানি এখন মুশফিকুর রহিমের। শ্রীলঙ্কা সফরেই হয়ে যেতে পারে এই রেকর্ড। তবে হায়দাবাদ টেস্টে ঋদ্ধিমানকে স্ট্যাম্পিংয়ে ফিরিয়ে দেয়ার মহাসুযোগ হাতছাড়া করে বিসিবির রোষানলে এতোটাই পড়েছেন যে মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়েও উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে মুশফিকুর রহিমের। হায়দারাবাদ টেস্টে বীরত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি পর্যন্ত ম্লন হয়েছে তার কিপিংয়ে ছোট-খাট ভুলে। হায়দারাবাদ অবস্থানকালে মিডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি বিকল্প উইকেট কিপারের প্রয়োজন অনুভব করেছেন। এ ব্যাপারে মুশফিকুরের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। জানতে চেয়েছেন তার সিদ্ধান্ত। গতকাল আকরাম খান, খালেদ মেহমুদ সুজন মুশফিকুরের সঙ্গে বসেছেনও।
তিন ফরমেটের ক্রিকেটে বর্তমানের উইকেট কিপারদের মধ্যে ধোনীর (৪৫২ ম্যাচে ৭২২ ডিসমিসাল) পরই মুশফিকুরের অবস্থান ২৭৪ ম্যাচে ৩১১ ডিসমিসাল। ম্যাচ প্রতি ডিসমিসালের গড় ১.১২৪ও মন্দ নয়। ব্যাটিংয়ে মনোযোগের পাশে বাড়তি দায়িত্ব টেস্টে ক্যাপ্টেনসি, উইকেট কিপার হিসেবে তৃতীয় দায়িত্বটি তাই যথাযথভাবে পালন করতে পারছেন না বলে মুশফিকুরের বিপক্ষে যে অভিযোগ দাঁড়িয়ে গেছে, তার সঙ্গে একমত নন এই উইকেট কিপার কাম ব্যাটসম্যান ‘কিপিং আমি সবসময়ই উপভোগ করি। আমার ব্যক্তিগত মতামত, কিপার এবং ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের জন্য ভালো অবদান রাখতে পারি। কিপিংয়ে ঠিকঠাক কাজ করার কথাটা মাথায় আছে। ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করলেও ডাবল সেঞ্চুরি করার কথা মাথায় থাকে। কিপিংয়ের ক্ষেত্রেও সব সময় সজাগ থাকতে হয়।’
উইকেট কিপাররাও মানুষ, ভুল হতে পারে, এবং তা স্বাভাবিক বলেই মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুশফিক ‘পৃথিবীতে এমন কোনো কিপার নেই যাদের ভুল হয় না। আমার দেখা সেরা কিপার হলো ঋদ্ধিমান সাহা। আমি তার অনেক কিছু অনুসরণ করার চেষ্টা করি। কারণ তার সব কিছুই অনেক পরিষ্কার। সেও কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যাচ মিস করেছে। আমাদের বিপক্ষেও সে রিয়াদ ভাইয়ের ক্যাচ মিস করেছে। এখন রিয়াদ ভাই যদি টেস্টটা ড্র করে ফিরত, তখন কিন্তু প্রেক্ষাপটটা ও অন্যরকম হতো। যেটা আমাদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। সজাগ থাকার পরও অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। আমাদের চেষ্টাটা একই রকম থাকে। সেজন্যই জাতীয় দলে আসা। তাছাড়া ক্রিকেট আমাদের রুটি রুজির উপায়। এখানে বেঈমানি করার কোনো সুযোগ নেই। আমরাও মানুষ, ভুল হতেই পারে।’
২০১৫ সালে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন টেস্টে করেননি কিপিং। গত বছরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ টি-২০তেও করেননি কিপিং। তবে এটা যে ইচ্ছের বিরুদ্ধে, টিম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশে খুলে ফেলতে হয়েছে ওই সব ম্যাচে কিপিং গ্যাসত, গতকাল তা জানিয়েছেন মিডিয়াকে ‘গত বছর যে এশিয়া কাপ হয়েছে, সেখানে কিন্তু আমি কিপিং করিনি, শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই তিনটা ম্যাচ খেলেছি। এটা কিন্তু ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল।’ টেস্টে উইকেট কিপিংয়ের ভাগ্যটাও টিম ম্যানেজমেন্টের উপর দিয়েছেন ছেড়ে মুশফিকুর রহিম ‘আমার তো বোলিংও করতে ইচ্ছে করে। এতে যদি দলের উপকার হয়, তাতেও আমি রাজি! কিন্তু আমি ইচ্ছে করলেই তো সব কিছু হবে না। কোচ আছেন, ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ড আছে, আমি কী করব, সে সিদ্ধান্ত তারা নিবেন। আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হবে, সেটাই পালন করব। বাকিটা টিম ম্যানেজমেন্টের উপর নির্ভর করছে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ