পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ঐতিহাসিক সফরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ গেছেন সউদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের। এর মাধ্যমে বাগদাদে ২০০৩ সালের পরে এবারই প্রথম সউদি আরবের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পা রাখলেন। সফরকালে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল এবাদির সঙ্গেও সাক্ষাত করেন। ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা ও জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দমনের বিষয়ে পারস্পরিক ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়া ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম এ জাফারির সঙ্গেও জুবায়ের বৈঠক করেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্কে শীতলতা দেখা দেয়। রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় দু’দেশ। বন্ধ করে দেয়া হয় দূতাবাস, স্থগিত হয় কূটনৈতিক সম্পর্ক। এর পর থেকে দু’দেশেরই কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দ্বিপাক্ষিক সফর করেননি এবং কোন ধরনের আলাপ-আলোচনাও হয়নি। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে উৎখাত হন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। এর পর সউদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে। দীর্ঘ ২৫ বছর পরে ২০১৬ সালে বাগদাদে পুনরায় দূতাবাস চালু করে রিয়াদ। কিন্তু বছর না ঘুরতেই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে সউদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের দাবি তোলে ইরাকি প্রশাসন। এর প্রেক্ষিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রত্যয়ে জ্যেষ্ঠ সউদি কর্মকর্তা হিসেবে বাগদাদ সফর করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের। বিবিসি, আরব নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।