মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদি আরবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো অনেকদিন ধরেই সৌদি আরবকে চাপে রেখেছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ সালমানও একাধিকবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর কমানোর ব্যাপারে বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু বাস্তবে সৌদি কর্র্তৃপক্ষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ বা কমানোর ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপই নেই। প্রসঙ্গত, উপসাগরীয় অঞ্চলের আরেক দেশ বাহরাইনেও গত দুই বছরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার হার বেড়েছে তিনশ গুণ।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের পুরো সময়ের চেয়ে বেশি বলে জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালে রেকর্ড ১৮৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব। এই সংখ্যা কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সৌদি পরিচালিত মানবাধিকার কমিশন জানায়, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে মৃত্যুদণ্ডের হার ৮৫ শতাংশ কমেছে। ২০২০ সালে ২৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো জি-২০ সম্মেলনের নেতৃত্ব দিয়েছে সৌদি। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ওই বছর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আনা হয়েছে বলে বক্তব্য রয়েছে। তবে জি-২০ সম্মেলনের পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার আবারও বেড়ে গেছে। ওই বছরের ডিসেম্বরেই ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। চলতি বছরের জুনে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অথচ তিনি ১৮ বছরের কম বয়সে অপরাধ করেছিলেন। দেশটিতে এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। যদিও সৌদির দাবি, কিশোর বয়সে করা অপরাধের জন্য তারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে না।
চলতি বছর রিয়াদের বিশেষ অপরাধ আদালত (এসসিসি) অন্তত ১৩ মানবাধিকার কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে এসব লোকজনকে মাসের পর মাস বিনা বিচারে কারাবন্দি করে রাখা হয় এবং তাদের উকিলের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না। অ্যামনেস্টির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সৌদি সরকারের সমালোচনা, মানবাধিকার, নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন এমন অন্তত ৩৯ জন বর্তমানে কারাভোগ করছেন। শুধুমাত্র সৌদি সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে টুইট করায় এক মানবাধিকার কর্মীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।