Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে সরকারী অধিগ্রহণকৃত প্রায় ১শ’ ৩০ একর ভূমির মালিকানা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্নের পথে। এদিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আব্দুল মতিন নামের এক কন্ট্রাক্টরের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে অধিগ্রহণের মূল্য থেকে শতকরা ৫ শতাংশ টাকার বিপরীতে অগ্রিম চেক হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদের হয়রানী করছে ওই সিন্ডিকেটের লোকজন। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস না পেলেও এলাকায় বিষয়টি নিয়ে চলছে ব্যাপক অসন্তোষ।
স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকার কুমিল্লার বুড়িচং-এর ময়নামতি ইউনিয়নের হরিণধরা ও পূর্ব শরীফপুর মৌজায় একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরীর জন্য ২০১৬ সালের ১৭ মে হরিণধরা মৌজায় ৩৯.০২৫ একর এবং পূর্ব শরীফপুর মৌজায় ৮৯ একর জমি অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয়। এভূমির মাঝে রয়েছে নাল, পুকুর, পুকুরপাড়, চারা ভিটি, ভিটি বাড়ি, রাস্তা। সরকার এক্ষেত্রে প্রতি শতাংশ ভূমির সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫শ’ ৭৩ টাকা। এদিকে স্থানীয় হরিণধরা এলাকার ঠিকাদার আব্দুল মতিন সহযোগী ৮/১০ জনের একটি সিন্ডিকেট নিয়ে জেলা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজশে নিরীহ ভূমির মালিকদের বিভিন্ন সমস্যাসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জমির মূল্যের বিপরীতে পাওয়া টাকা থেকে ৫ শতাংশ টাকা দাবী করছে। এ টাকা না দিলে অধিগ্রহণের টাকা না পাওয়ার ভয়ভীতিও দেখাতে শুরু করে। ফলে নিরীহ গ্রামবাসী টাকা পেতে অনেকটা বাধ্য হয়ে রাজী হচ্ছে দাবীকৃত ৫% টাকা দেওয়ার। সুত্র জানায়, এক্ষেত্রে প্রভাবশালী চক্রটি টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে জমির মালিকপক্ষের কাছ থেকে অগ্রিম চেক নিয়ে যাচ্ছে জোর করে। এছাড়াও কেউ কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রভাবশালী চক্রটি স্থানীয় ইউপি অফিস থেকে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট আদায়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হয়রানী করছে। এ অবস্থায় চরম বিপাকে রয়েছে অনেক পরিবার। স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, এখানে রয়েছে কমপক্ষে ১৫/১৬ টি সংখ্যা লঘু হিন্দু পরিবার। তারা একেবারেই হতাশ হয়ে প্রভাবশালীদের চাপে অগ্রীম চেক প্রদান করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলেও কেউ প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। সুত্র আরো জানায়,জেলা প্রশাসন অফিসের দূর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারী রা ৫ শতাংশ টাকার অর্ধেক দাবী করে মতিন সিন্ডিকেটের সাথে এরই মাঝে দফারফা করে ফেলেছে। আব্দুল মতিন সিন্ডিকেটের অন্যান্য সহযোগীরা হলেন,তার ভাই আব্দুল হালিম,শাহআলম,মোবারক,সাইফুল হায়দার,অলি হুজুর ওরফে পিস্তল হুজুর। বিষয়টির সত্যতা জানতে আব্দুল হালিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে জেলা প্রশাসনের এসএ শাখার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,বিষয়টি নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুমিল্লা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ