প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : সিমোয় নায়ক-নায়িকাদের পেশাদারী প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক অনেক সময় পর্দার বাইরে ব্যক্তি সম্পর্কের মধ্যেও গড়ায়। এটা নতুন কিছু নয়। তবে এই প্রেম-ভালোবাসার বাইরেও নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিরাজ করে। একে অপরের মধ্যে সহকর্মী হিসেবে অত্যন্ত মধুর সম্পর্কও গড়ে উঠে। কখনো ভাই, কখনো বোন, কখনো বন্ধুত্বের গাঢ় সম্পর্ক পরিদৃষ্ট হয়। তারা সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্কের মতোই চলচ্চিত্র পরিবারে পরিণত হয়। একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ায়, সহমর্মী হয়ে উঠেন। মুভি লর্ড খ্যাত ডিপজল ও অপ্সরি মৌসুমী চলচ্চিত্রের দুই প্রতিষ্ঠিত এবং শক্তিমান অভিনেতা-অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে পেশাগত যেমন সুসম্পর্ক রয়েছে, তেমনি ব্যক্তি জীবনেও তাদের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। বলা হয়, ভাই ও বোনের মতো অতি আপনজন পৃথিবীতে খুব কমই হয়ে থাকে। ঠিক ডিপজল ও মৌসুমীর মধ্যকার সম্পর্কটি তেমন। তারা একে অপরের অতি আপন। একই পরিবারের ভাই-বোনের মতো। তাদের এ সম্পর্ক একদিনে গড়ে উঠেনি। চলচ্চিত্রের শুরু থেকে অদ্যাবধি সমানভাবে অটুট রয়েছে। এ পর্যন্ত তারা একসঙ্গে প্রায় ত্রিশটির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর প্রায় সবগুলোই ডিপজলের প্রযোজনা সংস্থা থেকে নির্মিত হয়েছে। আর কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে একই প্রযোজনা সংস্থা থেকে এত সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি। এ থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক কতটা শক্ত ও মজবুত। এই সম্পর্কের বিশ্বাসটা এতটাই দৃঢ় যে, যখনই ডিপজল মৌসুমীকে তার সিনেমায় অভিনয়ের আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি কখনো না করেননি। যত ব্যস্ততাই থাকুক, ডিপজলের সিনেমার জন্য তার সিডিউল সবার আগে নির্ধারণ করতেন। চলচ্চিত্রের এই দুই স্টলওয়ার্ট দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেননি। ডিপজলও বেশ কয়েক বছর সিনেমা থেকে দূরে ছিলেন। আবার একথাও বলা যায়, তাদের নিয়ে যেভাবে এবং যে ধরনের সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া দরকার ছিল, সে ধরনের সিনেমার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শেষপর্যন্ত ডিপজল যখন নতুন করে নিজেই আবার শুরু করলেন, তখন এই উদ্যোগটি স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। উদ্যোগটি নিলেন বিশিষ্ট পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। তিনি তাদের নিয়ে শুরু করলেন নতুন সিনেমা দুলাভাই জিন্দাবাদ। জাঁদরেল এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দীর্ঘদিন পর ফ্রেম বন্দি করার উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে চলচ্চিত্রের জন্য আনন্দ সংবাদ। দীর্ঘদিন পর দর্শক এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীর অভিনয় পর্দায় দেখতে পাবেন। যে কথা বলছিলাম, পর্দায় ডিপজল ও মৌসুমীর অভিনয় নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তারা দু’জন এক হলে ভালো একটা কিছু হয়ই। দুলাভাই জিন্দাবাদের মধ্য দিয়েও তাই হবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। এর কারণ হচ্ছে দু’জনের মধ্যকার বোঝাপড়াটা অত্যন্ত মধুর। তার চেয়ে বড় কথা ব্যক্তি জীবনে তারা একে অপরকে ভাই ও বোনের মধ্যকার চিরন্তন সম্পর্কে আবদ্ধ। ডিপজল বলেন, নিঃসন্দেহে মৌসুমী একজন গুণী অভিনেত্রী। এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আমরা একসঙ্গে প্রায় ত্রিশটির মতো সিনেমায় কাজ করেছি। সিনেমাগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। এর কারণ হচ্ছে, আমাদের মধ্যকার বোঝাপড়াটা ভালো। একজন আরেকজনকে বুঝি। ব্যক্তি জীবনেও তার সাথে আমার অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক। যাকে বলে অতি আপন ভাই-বোনের মতো। আমাদের মধ্যকার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধটাও বেশ। চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমাদের এ সম্পর্ক চলে আসছে। প্রায় বিশ বছরের সম্পর্ক আমাদের। এ সময়ের মধ্যে আমি ও মৌসুমী অনেক সিনেমা করেছি। কিন্তু কখনো আমাদের যে ভাই ও বোনের সম্পর্ক তা ক্ষণিকের জন্যও বিচ্যুত হয়নি। যখন কাজ করিনি, তখনও একে অপরের খোঁজ-খবর সবসময় নিয়েছি। তিনি বলেন, কিছু সম্পর্ক আছে যা কখনো ছিন্ন হয় না। ভাই-বোনের মধ্যকার সম্পর্কটি তেমন। মৌসুমী ও আমার মধ্যকার যে ভাই-বোনের সম্পর্ক, তা ছিল, আছে এবং আমৃত্যু থাকবে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই আবার আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। তিনি বলেন, গল্পের কারণে পর্দায় আমাদের প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। তবে পর্দার বাইরে কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা ভাই-বোনের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।